পরিতোষ সাহা: বীরভূম
মরা গাঙে বান আনতে মরিয়া বাম দল গুলি।লক্ষ্য ছাব্বিশের বিধানসভা।২০১১ সালের আগে বীরভূম জেলার প্রায় প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বামেদের ঘাঁটি ছিল মজবুত।কিন্তু পালা বদলের পর সেই বাম দলগুলি তলানিতে ঠেকেছে।পঞ্চায়েত,পুরসভা মত নির্বাচন গুলিতেও তেমন ভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি বীরভূমের বাম দলগুলি।
ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই কোমড় বেঁধে নামছে সিপিএম সহ বাম দলগুলি।ইতিমধ্যেই বিধানসভাকে সামনে রেখে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে ফেলেছে।এবার তারা মাঠে নেমে দুয়ারে দুয়ারে প্রচার শুরু করবে।অপেক্ষা শুধু পার্টি কংগ্রেসের বৈঠক। এরপরই তারা তাদের নিচু স্তরের যে সাংগঠনিক স্তরের নেতা কর্মীদের মাঠে নামাবে।বামেদের বড় শরিক সিপিএমের লক্ষ্য জেলার আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ককে নিজেদের দিকে টেনে আনা।কারণ,গত লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে রামপুরহাট,সিউড়ি,খয়রাশোল বিধানসভা কেন্দ্র গুলিতে আদিবাসী ভোট কিছুটা সরে এসেছে বামেদের দিকে।সিপিএম নেতৃত্বের দাবি,২০১১ সালের পর থেকে দেখা গেছে জেলার আদিবাসী ভোট, প্রথমে তৃণমূলের দিকে ঝুঁকলেও,পরে তারা কিছুটা সরে বিজেপির দিকে ঝোঁকে।কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা ও গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার আদিবাসী ভোট তৃণমূল ও বিজেপির দিক থেকে সরে বামেদের দিকে ঝুঁকেছে।আর সেই ইঙ্গিত বামেদের মনোবল কিছুটা বাড়িয়েছে।তাই, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বামেদের আদিবাসী সংগঠন গুলিকে নামাতে চলেছে সিপিএম।চলতি বছরের মে মাস থেকেই তাদের মাঠে নামতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে সিপিএম।
বীরভূম জেলার সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন,“ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলার বেশ কয়েকটি বিধানসভাতে লক্ষ্য করা গেছে বামেদের যে ভোট অন্য রাজনৈতিক দলগুলির দিকে ঝুঁকলেও,গত দুটি নির্বাচনে তারা ফের বামেদের দিকে কিছুটা ঝুঁকেছে।আর সেটাকেই আমাদের কাজে লাগাতে হবে।পার্টি কংগ্রেসের পর, মে মাস থেকে ধারাবাহিক ভাবে প্রচারে নামা হবে।” যদিও সিপিএমের এই প্রচারকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূল কোর কমিটির চেয়ারম্যান বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন,“ সিপিএমের স্বপ্ন কোনদিনও বাস্তবায়িত হবে না।কারণ,গত ৩৩ বছর বামেদের শাসন রাজ্যবাসী দেখেছে।তাদেরকে আর কেউ বিশ্বাস করে না।তারা শূন্য,শূন্যই থাকবে।”