পোরবন্দরের উপকূলে রোববার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ভারতীয় কোস্টগার্ডের একটি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (ALH) ধ্রুব ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। প্রশিক্ষণ চলাকালীন হেলিকপ্টারটি আচমকাই ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় তিনজন ক্রু সদস্য গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে পোরবন্দরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর তৈরি ALH ধ্রুব ২০০২ সাল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের বিভিন্ন মিশনে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি একাধিক ভূমিকা সম্পন্ন হেলিকপ্টার, যা পরিবহণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম, এবং সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধের মতো কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে সম্প্রতি ধ্রুব হেলিকপ্টার সংক্রান্ত একাধিক দুর্ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে এর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে।
পোরবন্দরের পুলিশ সুপার ভগীরথসিংহ জাদেজা জানিয়েছেন, এই ঘটনার আগে সেপ্টেম্বর মাসেও পোরবন্দর উপকূলে আরেকটি ALH MK-III হেলিকপ্টার আরব সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। সেই ঘটনায় তিনজন ক্রু সদস্য নিখোঁজ হন, যাদের মধ্যে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেলেও পাইলট রাকেশ কুমার রানার দেহ এক মাস পর গুজরাট উপকূল থেকে উদ্ধার হয়। দুই বছর আগে ভারতীয় সেনার ব্যবহৃত ALH ধ্রুব হেলিকপ্টারে পর পর ত্রুটির ঘটনা সামনে আসে। সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাগুলি হেলিকপ্টারটির রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রযুক্তিগত ত্রুটি সংক্রান্ত নতুন করে তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে প্রশাসন দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তবে পরপর এই ধরনের দুর্ঘটনা ALH ধ্রুব-এর ভবিষ্যৎ ব্যবহারে নতুন প্রশ্ন তুলছে।
