বীরভূমের কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মামন শেখের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। গত শনিবার লায়েকবাজারে মামনের বাড়ির সামনে বোমা ফাটার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে অর্ঘ্য মল্লিক নামে এক যুবককে। শান্তিনিকেতনে রাজমিস্ত্রির কাজ করা অর্ঘ্য মামনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
এই ঘটনায় তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ সরাসরি অভিযোগ করেছেন, দলের অন্দরে নিজের গুরুত্ব বাড়াতে নিজেই বাড়িতে বোমাবাজি করিয়েছেন মামন। কাজল শেখের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী মামন কিছুদিন কাজলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ালেও সম্প্রতি অনুব্রতর ফিরে আসার পর আবার তাঁর শিবিরে যোগ দিয়েছেন। কাজল গোষ্ঠীকে চাপে রাখতে এমন কাজ করেছেন মামন।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের একাংশও কাজল শেখের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের দাবি, দলের অভ্যন্তরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খুনের হুমকি এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উসকে দিতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে মামন শেখ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাঁর প্রাণনাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মামনের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে।
বীরভূমের এই ঘটনা প্রমাণ করছে যে, দলের অভ্যন্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং ক্ষমতার লড়াই কতটা চরমে পৌঁছেছে।