মার্কিন কূটনীতিক মার্শা বার্নিকাটকে বাংলাদেশ নীতি নির্ধারকের পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্নিকাট বর্তমানে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেলের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে এর আগে তিনি বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বার্নিকাটের অপসারণের ঘটনা শুধু প্রশাসনিক রদবদল নয়, বরং একটি কূটনৈতিক বার্তা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বার্নিকাট ডেমোক্র্যাট ঘনিষ্ঠ হলেও জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে তিনি সেনেগালে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদ সামলেছেন। সম্প্রতি তাঁর বাংলাদেশ নীতি নিয়ে কূটনৈতিক জগতে আলোচনা চলছে। উল্লেখ্য, বাইডেন প্রশাসনের আমলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা দেখা দিয়েছিল। এমনকি হাসিনা প্রকাশ্যে আমেরিকার নীতির সমালোচনা করেছিলেন। এর মধ্যেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটে। গণঅভ্যুত্থানের পর ক্লিনটন ঘনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুস বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসেন। এই পরিবর্তনের পেছনে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে, যদিও ওয়াশিংটন তা অস্বীকার করেছে। বাইডেন প্রশাসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানও ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বলেছেন যে, বাংলাদেশ ইস্যুতে আমেরিকার কোনো ভূমিকা নেই।
এই আবহে বার্নিকাটের পদত্যাগের নির্দেশ একটি কৌশলগত বার্তা বলেই মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং শান্তি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, বর্তমান প্রশাসন এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবেন এবং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। বার্নিকাটের অপসারণ সেই বার্তারই অংশ হতে পারে।
