গ্রামে গ্রামে পানীয় জল দেয়ার জন্য পি এইচ ই এর হান্ড্রেড হাউস হোল্ড স্কীম ও মাদার স্কীমের কাজ এর জমি খুঁজতে গিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে বীরভূম জেলার জন স্বাস্থ্য কারিগরী দফতরকে। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেও তারা জমি সংগ্রহ করলেও রাজনৈতিক নেতাদের গ্রীন সিগন্যাল না পেলে কিছুতেই সেই জমিতে জলের কাজ শুরু করতে পারছে না পি এইচ ই এর ঠিকাদার সংস্থা। আর তাতেই গ্রামে গ্রামে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। এই জমি সংগ্রহ নিয়ে দলীয় রাজনীতি হলেও সেই রাজনীতির মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকারি জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর। আর সেটা নিয়েই নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। গ্রামে গ্রামে এই ছোটো ছোটো জল প্রকল্প তৈরি করে মাটির নিচ থেকে জল তুলে সেই জলকে গ্রামের মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর। সেই কাজে সহায়তা করে ইমপ্লিমেন্টিং সাপোর্টিং এজেন্সি বা আই এস এ টিম। যাদের সহায়তায় জমি খুঁজে বের করে এই ছোটো ছোটো জলের প্রকল্প তৈরি করতে পারে পি এইচ ই। কিন্তু সেই জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়েই রাজনীতির মারপ্যাঁচে পড়তে হচ্ছে এই সরকারি জলের প্রকল্পকে। শুধু এই ছোটো জল প্রকল্পের জমি অনুমোদন এর ক্ষেত্রে নয় বড় বড়ো মাদার স্কীমের কাজে জমি পেতেও সমস্যা হচ্ছে। তৃণমুল এর ছোটো, বড়ো, মেজো, সেজো, বিভিন্ন স্তরের নেতাদের কাছ থেকে গ্রীন সিগন্যাল না পেলে কিছুতেই সেই জমি সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আর তাতেই মুখ থুবড়ে পড়ছে এই গ্রামে গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ। যেটা আসল উদ্দেশ্য এই প্রকল্পের। যেখানে বীরভূম জেলার মহম্মদ বাজার ব্লকের নানা জায়গায় যেমন শ্রীকান্তপুর, দেউচা, পাঁচামি সহ ময়ুরেশ্বর এক ও দু নম্বর ব্লক, নানুর ব্লক, বোলপুর ব্লক, রামপুরহাট এক ও দুই নম্বর ব্লক সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামে গ্রামে এই জল প্রকল্প তৈরি করতে গিয়ে কাজে রাজনৈতিক বাধা পেয়ে গতি হারাচ্ছে এই সরকারী জল প্রকল্পের কাজ। যেখানে শুধু রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে বিশুদ্ধ পানীয় জল পেতে সমস্যা হচ্ছে গ্রামের মেঠো সাধারণ মানুষদের।