হরিয়ানার পঞ্চকুলায় রুটিন প্রশিক্ষণের সময় ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার একটি যুদ্ধবিমান। শুক্রবার সকালের এই ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন পাইলট। মাঝ আকাশে উড্ডয়নের সময় আকস্মিক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। তবে প্রশিক্ষিত চালক দ্রুত সাড়া দেন এবং ঝুঁকি বুঝে সময়মতো বিমান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
বায়ুসেনার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার নেপথ্যে প্রযুক্তিগত সমস্যাই মূল কারণ। বিমানটি বিকল হয়ে পড়ার পর চালক চেষ্টা করেছিলেন সেটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার। শেষ পর্যন্ত জনবসতি এড়িয়ে ফাঁকা এলাকায় বিমানটি আছড়ে পড়ে, যার ফলে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। পাইলটকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গেছে।
প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, যুদ্ধবিমানটি হরিয়ানার আম্বালা ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিল। কিছু সময় পরই প্রযুক্তিগত সমস্যার ইঙ্গিত মেলে, যার ফলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয় চালককে। স্বাভাবিকভাবেই, এই ধরনের দুর্ঘটনার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বায়ুসেনা। বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খতিয়ে দেখছে এবং তথ্য সংগ্রহ করছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধ করা যায়।
এই ধরনের দুর্ঘটনা নতুন নয়। মাত্র এক মাস আগেই মধ্যপ্রদেশের শিবপুরীতে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছিল। সে ঘটনায় দু’জন পাইলট সফলভাবে বিমান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। এর আগেও ২০২৪ সালের নভেম্বরে উত্তরপ্রদেশের আগরার কাছে মিগ-২৯ বিধ্বস্ত হয়, যদিও সেবারও চালক নিরাপদেই উদ্ধার হয়েছিলেন।
এই ধরনের বারবারের দুর্ঘটনা যুদ্ধবিমানগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলির নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যদিও বায়ুসেনা প্রতিটি দুর্ঘটনার তদন্ত করে ও ভবিষ্যতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়, তবুও এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
Leave a comment
Leave a comment