বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে গাছ গ্রুপ, বীরভূম জেলার পক্ষ থেকে বসন্ত উৎসবের ঠিক আগেই পলাশ বাঁচাও কর্মসূচি পালিত হলো। এই উপলক্ষে এদিন বেলা দশটায় বোলপুর ট্যুরিস্ট লজের সামনে থেকে একটি পদযাত্রা শান্তিনিকেতন পর্যন্ত যায়। পলাশ বাঁচানোর আবেদন জানিয়ে ব্যানার হাতে নিয়ে প্রায় শতাধিক বৃক্ষপ্রেমী বিশিষ্ট জন এই পদযাত্রায় সামিল হন। শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় পলাশ গাছের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বার্তা দিলেন ডঃ সুপ্রিয় সাধু, মিসকিন আলি, অরূপ থান্ডার,তারক ব্যানার্জি সহ বিশিষ্ট গাছ গ্রুপের সদস্যরা। আবৃত্তি করেন শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুজাতা সাহা।রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী শিবপ্রসাদ সরকার। এছাড়া আবির ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা মূলক আলোচনা করা হয়। অংশ গ্রহণ করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, অরূপ চৌধুরী ও ডঃ কল্যাণ ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। পলাশ বাঁচাও কর্মসূচি পালন দেখে স্থানীয় মানুষ,আশ্রমবাসী ও ভ্রমণ পিপাসুদের মনে দারুন সাড়া ফেলেছে। পলাশ ও অন্যান্য গাছকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলে উপস্থিত সুধী জনেরা আবেদন জানান। দোল এর উৎসবে পলাশ ফুলকে নানা ভাবে ব্যবহার করা হয়। পলাশ এর ফুলের মালা বিক্রি হয়। আর সেই বিষয়ে সচেতন করতেই এই পলাশ বাঁচাও অভিযান। গাছ গ্রুপের সদস্যরা এই পলাশ ফুলকে কুড়িয়ে নেওয়ার আবেদন জানান। যেন গাছ থেকে ছিঁড়ে না ফেলা হয়। এই আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এই বসন্তে পলাশ গাছের সৌন্দর্য আলাদা। সেই ফুলকে ছিঁড়ে নষ্ট করলে প্রকৃতির শোভা নষ্ট হয়। সেই জন্য তাঁদের এই আবেদন।