‘আজাদ কাশ্মীর’ এবং ‘ফ্রি প্যালেস্তাইন’ গ্রাফিতি আঁকা হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। সেই নিয়ে শুরু হলো নতুন বিতর্ক। এই ঘটনায় অতি বাম সংগঠনকে দায়ী করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। যদিও সেই দায় অস্বীকার করেছে সিপিআইএম-এর ছাত্র ইউনিট এসএফআই। জানা গিয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের কাছে একটি দেওয়ালে ‘আজাদ কাশ্মীর’ ও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা গ্রাফিতির দেখা মিলেছে। তবে কোন সংগঠনের হাত রয়েছে এর নেপথ্যে সেই সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ শাখার সভাপতি কিশোরালয় রায় জানান,”এর পিছনে কিছু অতি-বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের হাত রয়েছে।” অন্যদিকে, দেওয়াল লিখনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। তাদের ইউনিটের নেতা অভিনব বসু জানান, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি’ সমর্থন করে না তাঁদের সংগঠন। তিনি বলেন,”আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করি না। যদিও আমরা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সংখ্যালঘুদের উপর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে।”
গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভে উত্তাল ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। তবে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১০ মার্চ থেকে ইনস্টিটিউটে শুরু হয় ক্লাস ও পরীক্ষা। এদিকে ক্যাম্পাসে সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীর ঢুকে পড়ায় ফের অসন্তোষ দেখা দেয় পড়ুাদের মধ্যে। , ১০ মার্চ দুপুর ১টা নাগাদ প্রায় ৩০ জন পুলিশ কর্মী সাদা পোশাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন এবং ক্লাস শেষ হওয়ার পর বিকেল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন বলে দাবি করেন এসএফআই এবং এইডসো এবং শীর্ষস্থানীয় অধ্যাপক ইউনিয়ন জুটা এবং আবুটার কর্মীরা। এসএফআই নেতা সৌর্যদীপ্ত জানান, “ওম প্রকাশ মিশ্র ক্যাম্পাসে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাদা পোশাকের পুলিশকে দেখতে পায় পড়ুয়ারা। এরপরই ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্য প্রশাসনের ভয়ভীতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত করার দাবিতে স্লোগান দেন।”