সম্প্রতি বাংলাদেশে তোহিদি মুসলিম জনতা ভারতবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করেছে এবং তারা জানিয়েছে, ভারতের মুসলমানদের বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ভারতে মুসলমানদের ওপর অত্যাচার এবং বৈষম্য বেড়ে চলেছে। সংগঠনের মুখপাত্র স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “ভারতে মুসলমানরা আজ চরম সংকটের মুখে। ধর্মীয় অবমাননা, বৈষম্য এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে তারা। এই অবস্থায় আমাদের দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া।”
তোহিদি মুসলিম জনতার এই ঘোষণার পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা একটি দীর্ঘ মিছিল এবং প্রতিবাদের আয়োজন করবে। সংগঠনের এক নেতা বলেছেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের মুসলমানরা আজ নিজেদের দেশে অসহায়। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশ সবসময় নিপীড়িত মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছে, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।”
ভারতে মুসলমানদের প্রতি আচরণ নিয়ে তোহিদি মুসলিম জনতার নেতারা সরাসরি ভারত সরকারের নিন্দা করেছেন। তারা দাবি করেছেন যে, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্য ও অত্যাচার করা হচ্ছে। সংগঠনের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে এবং তাদের নাগরিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ভারতে মুসলমানদের জীবনধারা এবং নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
তোহিদি মুসলিম জনতার দাবি, তারা ভারতের মুসলমানদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। তারা ঘোষণা করেছে যে, ভারত সরকার যদি মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা ভারতের মুসলমানদের বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত থাকবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা চাই ভারতের মুসলমানরা নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে বাঁচুক। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে বাংলাদেশ তাদের জন্য সর্বদা উন্মুক্ত থাকবে।”
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে এই ইস্যুটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, তোহিদি মুসলিম জনতার এই হুঁশিয়ারি ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠতে পারে। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা এবং অধিকার রক্ষা করা ভারত সরকারের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সরকারও এই পরিস্থিতি সামাল দিতে কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে পারে। তোহিদি মুসলিম জনতার এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।