এক জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক পডকাস্টে আলোচনার সময় মার্কিন হোস্ট লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র পাকিস্তানকে নিয়ে দৃঢ় ও স্পষ্ট বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর পেছনে পাকিস্তানের ভূমিকা দীর্ঘদিন ধরেই স্পষ্ট, এবং তাদের মদত ছাড়া এমন কার্যকলাপ সম্ভব হতো না। তার এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই ইসলামাবাদ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মোদীর মন্তব্যকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তার বক্তব্য পক্ষপাতদুষ্ট ও বাস্তবতাবিহীন। ইসলামাবাদের দাবি, ভারত কাশ্মীর ইস্যুকে পরিকল্পিতভাবে উপেক্ষা করছে, যদিও এটি এখনও বৈশ্বিক পর্যায়ে নিষ্পত্তিহীন রয়ে গেছে।
পাকিস্তান পাল্টা দাবি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল এবং উল্টে ভারতই মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিভিন্ন সহিংস কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। পাকিস্তানের দাবি, দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতার মূল কারণ ভারতের সম্প্রসারণবাদী নীতি। তবে এই ধরনের বক্তব্য নতুন কিছু নয়। অতীতের মতো এবারও ইসলামাবাদ কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কড়া ভাষায় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “৯/১১ হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল? পাকিস্তানেই! বিশ্ব জানে, ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদ লালন-পালন করে আসছে। ” তিনি আরও বলেন, “ভারত সবসময় শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতী। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু প্রতিবারই বিশ্বাসঘাতকতার সম্মুখীন হয়েছি।”
মোদী মনে করিয়ে দেন, “শান্তির বার্তা দিতেই আমি লাহোরে গিয়েছিলাম, কিন্তু প্রত্যেকবার প্রতারণা ছাড়া কিছুই মেলেনি। এখনই উপযুক্ত সময় পাকিস্তানের জন্য সন্ত্রাসের ছায়া থেকে বেরিয়ে উন্নয়নের পথে হাঁটার। বিশ্বরাজনীতির বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামাবাদের এই প্রতিক্রিয়া পরিকল্পিত এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টি বিভ্রান্ত করার একটি কৌশল মাত্র।
Leave a comment
Leave a comment