সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
————————‘
ফের বিধানসভায় বিরোধীপক্ষের বিক্ষোভ- ধুন্ধুমার। বিরোধ্যক্ষের প্রস্তাব বিধানসভা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় খারিজ করে দেওয়ায় বাধে বিপত্তি। অধিবেশন পক্ষ থেকে ওয়াক আউট করে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে ” গণতন্ত্রের মন্দিরে যখন গণতন্ত্র ধ্বংস হয় মানুষের দাবি অগ্রাহ্য হয় মানুষের কথা শুনা হয় না তখন মানুষের দরবারেই এই জনবিরোধী সরকারের বিচার চাইতে আমরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হচ্ছি।” প্রসঙ্গত, বীরভূমের সাঁইথিয়া ও সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় নেয় সংবিধান ১৬৩ ধারা, যা পূর্বতন ১৪৪ ধারা জারি করা এবং বেশ কিছুদিন ধরে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা নিয়ে সরকার পক্ষের বিবৃতি ও আলোচনা দাবি করেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। যদিও সরকার পক্ষের আপত্তিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপরেই বাধে গন্ডগোল। বিধানসভার ভিতরেই অধিবেশন কক্ষে বিজেপি বিধায়করা প্রথমে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। স্লোগান ও চেঁচামেচি শুরু হয়। এরপর অধিবেশন ওয়াক আউট করে বিধানসভার বাইরে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে তখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্বে তুমুল শোরগোল শুরু হয়। পোস্টার প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এবং স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভার মূল গেটের বাইরে বেরিয়ে রাস্তায় এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি বিধায়কদের এই বিক্ষোভের জেরে বিধানসভার সামনে অচলাবস্থা তৈরি হয়। একদিকে বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রচুর পুলিশ অন্যদিকে বিক্ষব্রত বিজেপি বিধায়ক দল এবং তার পাশাপাশি বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে। যাতায়াত করা গাড়ির লাইন। সব মিলিয়ে বিধানসভার মুল গেট সংলগ্ন এলাকায় অচলাবস্থা তৈরি হয়। এরই মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ কর্মসূচি গেট থেকে সরে এক পাশে করার অনুরোধ জানানো হলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়। ঝাঁঝালো মেজাজে পুলিশকে আক্রমণ করেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার গেটের বাইরে রাস্তার উপরে বিক্ষোভ দেখানো যাবে না সংবিধানের কোথায় লেখা আছে? পুলিশের কাছে তা জানতে চান শুভেন্দু। একই সঙ্গে বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে সরকার পক্ষের অগণতান্ত্রিক মনোভাব এবং দ্বীনের পর দিন বিরোধীদের সঙ্গে সরকারি দমন পীড়ন নীতির সমালোচনাও করেন তিনি। মূলত স্বরাষ্ট্র দপ্তর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বা জনস্বার্থে সঙ্গে যুক্ত সরকারি দপ্তরের বাজেট গিলোটিনে পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শুভেন্দু বলেন ” মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভা তাদের দায়বদ্ধতা মানতে নারাজ। প্রকৃতপক্ষে এই বিধানসভা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রকে এই মুখ্যমন্ত্রী ও তার সরকার প্রহসনে পরিণত করেছেন।” সরকারপক্ষের এই অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী মনোভাবের এবং কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিধানসভার বাইরে ও ভিতরে বিজেপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।