অভিজিৎ বসু
রেকর্ড সম্প্রসারণ আরএসএস এর। ২০১৪-র জুলাই থেকে ২০২৪-র জুলাই এই দশ বছরে দেশে সঙ্ঘের শাখা, মিলন বেড়েছে প্রায় ৩৮ হাজারের বেশি। এবার সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে গেল আরএসএস। আরএসএস এর সম্প্রসারণের এই বৃদ্ধির জন্য মূলত, যুব সমাজ ও স্বেচ্ছাসেবকদের আগ্রহ বৃদ্ধিকেই চিহ্নিত করছে সংঘ। ২৬ এর ভোটের আগে প্রসার বৃদ্ধি আরএসএস এর।১৯২৫-র বিজয়া দশমীর দিন সঙ্ঘের গঠন। প্রায় একশো বছরের মধ্যে শেষ দশ বছরে সঙ্ঘের শাখা, মিলন বেড়েছে ৩৮ হাজারের বেশি মোট শাখার প্রায় ৩৮ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে এই বৃদ্ধির হার আরও অনেকটাই বেশি। রাজ্যে আরএসএস-এর উত্তরবঙ্গ প্রান্তের এক কার্যকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘ রাজ্যের তিনটি প্রান্ত মিলিয়ে আমাদের প্রায় ৩৫০০ শাখা, মিলন রয়েছে। প্রায় পৌনে ৩ হাজার বেড়েছে গত ১৩ বছরে।গত এক বছরে সঙ্ঘের শাখা বেড়েছে ৫৮৩টি।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আমলে রাজ্যে লাগাতার নিজেদের প্রভাব বাড়িয়েছে আরএসএস। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে রাজ্যে সঙ্ঘ পরিচালিত স্কুল বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এখন সঙ্ঘের স্কুল আছে ৩৩৬টি। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গে আছে ১১২টি। ছাত্র-ছাত্রী আছে প্রায় ৮৮হাজার। এই স্কুলগুলি ‘ফরমাল’ স্কুল। এছাড়া প্রায় ৪০টি ‘ইনফরমাল’ স্কুল আছে। রাজ্যে দুই ভাগে স্কুল পরিচালনা করে আরএসএস। দক্ষিণবঙ্গে পরিচালনকারী সংস্থার নাম ‘বিবেকানন্দ বিদ্যাবিকাশ পরিষদ।’ উত্তরবঙ্গে তার নাম ‘বিদ্যাভারতী উত্তরবঙ্গ।’ মমতা ব্যানার্জির শাসনে রাজ্যে সঙ্ঘের বেশ কিছু স্কুল অনুমোদনও পেয়েছে। আর এর মধ্যে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত এর এগারো দিনের রাজ্য সফরের পর এবার রাজ্যে আসছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর কার্যকরী সভাপতি আলোক কুমার। তিনদিনের রাজ্য সফরে আসছেন তিনি। কলকাতায় থাকবেন একদিন, বাকি দুদিন জেলা সফর করবেন বলে জানা গেছে। যাবেন বীরভূম বলে জানা গেছে। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের আগেই তাই আর এস এস এই রাজ্যে গুছিয়ে নামতে চাইছে নিজেদের শক্তি সংগ্রহ করে।
দেশজুড়ে সংঘ কার্যক্রমের সম্প্রসারণ: শাখা ও স্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ ২০২৪ সালের তুলনায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর শাখা ও কার্যস্থলের সংখ্যা সারাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংঘের সম্প্রসারণের মূল দিক হলো, নতুন স্থান ও শাখার সংখ্যা বৃদ্ধি। যুব সমাজ ও স্বেচ্ছা সেবকদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা। সাংগঠনিক পরিসর আরও বিস্তৃত করা। এই বৃদ্ধির ফলে সংঘের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার আরও বেগবান হচ্ছে এই রাজ্যে আরও দ্রুত হারে। যাতে আর এস এস তার প্রভাব বাড়িয়ে নিজের উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে। এই লক্ষ্য নিয়েই হাসিমুখে এগিয়ে চলেছে আর এস এস।