বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। রাজনীতির মঞ্চে এখন বড় প্রশ্ন—দেশ কি রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকেই এগোচ্ছে? এমন এক সময়েই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, তারা সরকারকে উৎখাতের জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গোপন বৈঠকে তারা সরকারের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনার রূপরেখা তৈরি করেছিলেন।
এই ঘটনায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক আলোচনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে, তা নিয়ে এখন দেশজুড়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে এ বিষয়ে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, হাসিনাসহ অভিযুক্তরা দেশে অরাজকতা তৈরি করে সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাব্বি আলমের নামও রয়েছে এই তালিকায়, যিনি কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, শেখ হাসিনা আবার দেশে ফিরবেন। তদন্তে উঠে এসেছে, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ছক কষেছিলেন।
সরকারি কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকি জানিয়েছেন, সিআইডির একজন কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলার পর আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং সিআইডি দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে।
সিআইডির বিবৃতি অনুযায়ী, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর বৈঠকের অডিও পরীক্ষা করে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মিলেছে। সেখানে সরকারের কর্মকাণ্ড ব্যাহত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার দাবি, এই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য ছিল সরকারকে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা, যা স্পষ্টতই রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর একটি অনলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ৫৭৭ জন অংশগ্রহণ করেন।
ওই বৈঠকে সরকারবিরোধী কার্যকলাপের ছক কষা হয়েছিল এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, এই ঘটনাকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না, কারণ এটি দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হতে পারে।এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
সরকারের তরফে কড়া নজরদারি ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সামনের দিনগুলোতে এই ইস্যু ঘিরে আরও টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে।
