সঙ্ঘের সদর দপ্তরে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীদল ও সংঘের দূরত্ব কমিয়ে নতুন রাজনীতির সূচনা

❤️ Like 🔄 Share

👁️ 0

Share on WhatsApp

আজ রবিবার নাগপুরে আরএসএসের সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্ঘ–প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ‘গুডি পরবা’ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন বলে খবর। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম আরএসএস সদর দপ্তরে যাচ্ছেন মোদী।
উল্লেখ্য এর আগে গত বছর অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনে সঙ্ঘ–প্রধান ভাগবতের সঙ্গে দেখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৪ সালে একবার প্রকাশ্য অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল মোদী ও ভাগবতকে৷ তার পরে আবার তাঁদের একই মঞ্চে দেখা গেলো আজ, নাগপুরের রেশমিবাগে সঙ্ঘের সদরদপ্তরে। চলতি বছরেই সঙ্ঘ পরিবারের শতবর্ষ। সেই বছরেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার আসএসএস সদর দপ্তরে পা রাখলেন মোদী।
২০২৪–এর লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর বিজেপির সঙ্গে সঙ্ঘ পরিবারের একটা দূরত্ব তৈরি হলেও সম্প্রতি সম্পর্ক আবার উন্নত হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকবার আরএসএসের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে মোদীকে। পডকাস্টেও তিনি দেশগঠনে সঙ্ঘ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, আরএসএসের ভাবাদর্শ থেকে তিনি নিজের জীবনে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। এই আবহে মোদী ও ভাগবতের একই মঞ্চে আসার রাজনৈতিক তাত্‍পর্য রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অনেকেই মনে করছেন হরিয়ানা এবং দিল্লির বিধানসভা ভোটে যে ভাবে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে বিজেপির জয়ের পথ প্রশস্ত করেছে সঙ্ঘ পরিবার, তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভাগবতকে ধন্যবাদ জানাতে পারেন মোদী। সামনে রাখা হচ্ছে বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকেও। বিহারেও বিজেপির হয়ে গ্রাউন্ড জ়িরোতে জমি তৈরি করছেন সঙ্ঘ প্রচারকরা। এ ছাড়া, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে জে পি নাড্ডার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে৷ শীঘ্রই বেছে নেওয়া হবে নতুন সভাপতি। তা নিয়েও মোদী ও ভাগবতের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। শুধু তাই নয় দলের সেকেন্ড ম্যান অমিত শাহের মুখেও সংঘের প্রশংসা শোনা গেছে ইতিমধ্যে। বিজেপি ও সংঘের মধ্য যে দূরত্ব সেটা মিটিয়ে দলের সভাপতি নির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও কাছে সম্পর্কের উন্নতি করতে চাইছে মোদী ও অমিত শাহরা। আর সেই লক্ষ্যেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই নাগপুর সফর। মোদী ও ভাগবতের একই মঞ্চে আসার রাজনৈতিক তাত্‍পর্য রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সভাপতি নির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও দূরত্ব কমিয়ে কাছে টানার কৌশল মোদীর। যাতে দলের সভাপতি নির্বাচনে নিজেদের লোকরাই অগ্রাধিকার পায়। এখন আগামীদিনে কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।