যেমনটা ভাবা হয়েছিল তেমনটা হল না মোটেই। ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনায় থাকছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।দুই দেশের অধস্তন আধিকারিকদের মধ্যে এই বৈঠক হবে বলে জানা গেছে। ফলে এই বৈঠকের সাফল্য কতটা মিলবে প্রশ্ন উঠে গেল তা নিয়েই।
তবে কদিন আগেও এই বৈঠক ঘিরে আলোচনা অন্য মাত্রা নিয়েছিল।রবিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, কোনও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নয় সরাসরি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী রাশিয়া। আর সেটাই নাটকীয় মোড় নেয় যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করে বলেন যে তিনি তুরস্কে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ডাকে সাড়া দেন নি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইস্তানবুলের শান্তি আলোচনায় পুতিন যে থাকবেন না তা ক্রেমলিনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয় প্রেসিডেন্টের সহকারী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি এই শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। তার অনুপস্থিতির প্রতিবাদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও এই বৈঠকে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন।
আর ভাল কিছু হওয়ার তাল কেটে গেছে তখনই। পুতিনের এই বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ জেলেনস্কি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে যুদ্ধ থামানোর সদিচ্ছা নেই বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। জেলেনস্কির দাবি, “পুতিনের এই অনুপস্থিতি অসম্মানজনক। সেই অসম্মান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও করা হয়েছে।”
যদিও রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুখোমুখি বা সরাসরি আলোচনার জন্য শর্ত চাপিয়ে ইউক্রেন এবং তার ইউরোপীয় বন্ধু দেশগুলো ৩০ দিনের জন্য একটি যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়।যাকে কিয়েভ ও মস্কোর সরাসরি শান্তি আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়। যদিও সোমবার মস্কো ইউরোপের এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান যে রাশিয়া কোনও চাপ মানবে না। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার বলেছেন, শান্তি প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার মূল্য দিতে হবে ভ্লাদিমির পুতিনকে।
তবে জানা গেছে এবার রাশিয়া, ইউক্রেন এবং তুরস্কের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে এবং অ্যামেরিকা, ইউক্রেন এবং তুরস্কের মধ্যেও অপর একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন তাদের বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ২০২২-এ যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এর মধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বয়ং।ডনের বার্তা তার সঙ্গে পুটিনের সাক্ষাৎ হওয়ার আগে শান্তি বৈঠক সফল হবে না।
Leave a comment
Leave a comment
