সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
রাজ্যে জাল ওষুধের রমরমা রুখতে আরও তৎপর হলো নবান্ন। জাল ওষুধ রুখতে স্বাস্থ্য দপ্তর ইতিমধ্যেই কয়েক দফা অ্যাডভাইজারি জারি করেছে। এবার রাজ্যের এডভাইজারি অনুযায়ী বৈঠকে বসছেন ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা। মে মাসের শেষ থেকেই শুরু হবে জেলায় জেলায় বৈঠক। মূলত অ্যাডভাইজারি করা হয়েছে পাইকারি ওষুধ বিক্রেতাদের জন্য। যাতে জাল ওষুধ কিনে তাদের ঠকতে না হয়। সেই সমস্ত পাইকারি সংগঠনের সঙ্গে ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা বৈঠক করবেন। কিভাবে ওষুধ কিনবেন বা দোকানে তা বিক্রি করবেন এবং রাজ্য সরকার কিভাবে সহায়তা করবে তা নিয়েই বৈঠক কর হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। সুগার প্রেসার এমনকি সাধারণ জ্বর সর্দি-কাশির ওষুধে যেভাবে জাল কার বাড়ির রমরমা বেড়েছে সে ক্ষেত্রে সাধারণ গরিব মধ্যবিত্ত সহ সমস্ত মানুষের কাছেই এই মুহূর্তে ওষুধ আতঙ্ক একটা বড় সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে জীবন দায়ী ওষুধের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সর্বাধিক। সাধারণত বয়স্ক ও শিশুদের জন্য সবচেয়ে বেশি ওষুধের প্রয়োজন হয়। আর সেই জীবনদায়ী ওষুধই যদি জাল বা নকল হয় সেক্ষেত্রে মহামারীর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কেন্দ্র ও রাজ্যের রিপোর্ট অনুযায়ী এই আশঙ্কা থেকেই জাল ওষুধের কারবার রূপকে তৎপর হয়েছে নবান্ন। ই রাজ্যে জাল ওষুধের কারবারে ভিন রাজ্যের যুগ মিলেছে। ইতিমধ্যেই জাল ওষুধ কারবারিদের রুখতে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রাজ্যের পুলিশ এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এবং গোয়েন্দারা। পাশাপাশি রাজ্যের ওষুধ বিক্রেতাদের বিশেষ করে যারা পাইকারি ওষুধের ব্যবসা করেন তাদের সতর্ক করার জন্য দফায় দফায় অ্যাডভাইজারি প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।
মূলত, জাল বা নকল ওষুধের তালিকায় ৩০০ টির মতো ওষুধ বা ব্র্যান্ড রয়েছে এবং তালিকাভুক্ত ওষুধের কিউআর কোড স্ক্যান করা বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। তালিকাভুক্ত ওষুধগুলি কেনার সময় বিক্রেতারা QR কোড স্ক্যান করবেন এবং পাইকারি বিক্রেতা যে ওষুধ কিনবেন তার জন্য নির্দিষ্ট এবং বৈধ সংস্থার চ্যানেল ব্যবহার করবেন। ওষুধ বিক্রেতার লাইসেন্সের বৈধতা দেখে তবেই ওষুধ কিনবেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে ভিন রাজ্যের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে ওষুধ কেনার সময় সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের পাইকারি ওষুধ বিক্রেতাদের রাজ্য সরকারের অ্যাডভাইজারই মেনে চলা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় কোন গাফিলতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন।
