দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কেরল, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে। ফের বাড়ছে কোভিড উদ্বেগ। যদিও ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই দাবি শীর্ষ স্বাস্থ্য অধিকর্তার। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ওরফে আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ রাজীব বেল জানান, আগের মতো মারাত্মক সংক্রামক নয় নতুন এই করোনাভাইরাস।
নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব সাধারণত ক্ষীণ। নতুন ভ্যারিয়েন্টের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে এমনই প্রমাণ মিলেছে বলে জানান আইসিএমআর কর্তা। নতুন ভ্যারিয়েন্ট আদতে ওমিক্রনেরও সাব ভ্যারিয়েন্ট। তা তেমন মারণাত্মক নয় বলেই দাবি তাঁর। নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলিকে LF.7, XFG, JN.1 এবং NB. 1.8.1 রূপে অভিহিত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বর্তমানে প্রথম তিনটি ভ্যারিয়েন্টেরই বেশি প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ওই স্বাস্থ্য কর্তার আরও দাবি, “অন্যান্য জায়গাগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহের পর তা জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখা হচ্ছে। ফলে দু-তিন দিনের মধ্যেই জানা যাবে আর কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্টের উৎপত্তি হয়েছে কিনা।” প্রথমে দক্ষিণ ভারত, তারপর পশ্চিম ও এখন উত্তর ভারতেও বাড়ছে সংক্রমণ। তবে বিপদ এড়াতে ইন্টিগ্রেটেড ডিজ়িস সারভেল্যান্স প্রোগ্রামের আওতায় প্রত্যেকটি কেস গুরুত্ব নিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান আইসিএমআরের ডিজি।
তিনি আরও বলেন, “যখনই এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে, আমরা মূলত তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিই। প্রথমত, কীভাবে রোগের সংক্রমণ হচ্ছে ও কত দ্রুত আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে আমরা দু’দিনের ব্যবধানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে দেখেছি। তবে এবারে তেমন ঝড়ের গতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে না।”
দ্বিতীয়ত, নতুন ভ্যারিয়েন্ট সার্বিকভাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয় বলে জানান আইসিএমআরের ডিজি। তৃতীয়ত, সবচেয়ে বেশি কাদের উপর নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব ফেলছে, তা খতিয়ে দেখা হয়। যদিও এই মুহূর্তেই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে দাবি ওই স্বাস্থ্য অধিকর্তার। তবে সদা নজরদারি ও প্রস্তুত থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।