চুঁচুড়ায় এক হাতুড়ে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হল ৬২ বছরের এক প্রৌঢ়ের। মৃতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চিকিৎসকের কাছে পরপর ৫টি ইঞ্জেকশন নেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত চিকিৎসক। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কৃষ্ণ কর্মকার। বাড়ি হুগলির চুঁচুড়া কোদালিয়া এলাকায়। হালকা জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পায়ে টান ছিল তাঁর। কিন্তু হাসপাতাল বা বড় ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। স্থানীয় এক পরিচিতের পরামর্শে সোমবার তিনি যান এস কে বৈদ্য নামে এক হাতুড়ে চিকিৎসকের চেম্বারে, হুগলি স্টেশন রোড এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসকষ্টের কথা বার বার বললেও কোনও ইনহেলার বা উপযুক্ত ওষুধ দেননি চিকিৎসক। বরং একের পর এক পাঁচটি ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করেন কৃষ্ণবাবুর শরীরে।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
এর পরই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চিকিৎসক নিজেই একটি অটো করে ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠান রোগীকে। তবে হাসপাতাল পৌঁছনোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।মৃতের স্ত্রী বলেন, “জানতাম উনি এমবিবিএস নন, রেজিস্ট্রেশনও নেই। পাড়ার একজন বলেছিল, তাই নিয়ে গিয়েছিলাম। বিশ্বাস করাটাই ভুল ছিল। সব শেষ হয়ে গেল।” কৃষ্ণের ছেলে জানান, তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ করবেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ। ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি এলাকায় ডাক্তারি করছেন। প্রেসক্রিপশন লেখেন সাদা কাগজে, নিজস্ব স্ট্যাম্প ব্যবহার করেন। তাঁর পরিচয়পত্রে লেখা থাকে ‘জেনারেল ফিজিশিয়ান’। এলাকায় প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে এত বছর ধরে কোনও রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এই চিকিৎসক প্রকাশ্যে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারলেন? প্রশাসনের তরফে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি উঠেছে।
