স্যুইৎজারল্যান্ড থেকে ফেরার পরই পরিবার নিয়ে ফের ছুটি কাটাতে দুবাই পাড়ি দিয়েছেন অর্চনা পূরণ সিং। অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী অভিনেতা পরমীত সেঠি ও দুই ছেলে, আর্যমান ও আয়ুষ্মান। প্রথম দিন একটি ইন্ডোর ‘স্কাই ডাইভিং সেশন’ বুকিং করেছিলেন তাঁরা, কিন্তু পরে বোঝেন যে ঠকে গিয়েছেন। আর্যমান এই বুকিং যে সাইট থেকে করেছিলেন সেটি ভুয়ো! ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কয়েক হাজার টাকা গচ্চা গেল তারকার পরিবারের। দুবাইয়ের মতো জায়গায় এমন প্রতারণার শিকার হয়ে হতভম্ব অর্চনা। প্রসঙ্গত, বলা হয় দুবাই ভারতের থেকে অনেক বেশি নিরাপদ।
নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছনোর পর কাউন্টারের ভদ্রলোক তাঁদের জানান যে ওই নামে কোনও বুকিং নেই। তখনই খোঁজ করে অর্চনা ও তাঁর পরিবার আবিষ্কার করেন যে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইটে টাকা দিয়ে টিকিট বুক করেছেন তাঁরা। ‘রামাদানের বিশেষ ডিসকাউন্ট’ দেখে সেখানেই বুকিং সারেন তাঁর ছেলে, যদিও এখন রামাদানের মাস নয়। এতেই আরও নিশ্চিত হন অর্চনা যে সাইটটি ভুয়ো।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
অর্চনাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। কারণ যে ওয়েবসাইটে আমরা পাস বুক করেছিলাম সেই সাইটটা আসল নয়। দুবাইয়ে এসে প্রতারণার শিকার হলাম আমরা?’ হতবাক অর্চনার পাশে গম্ভীর মুখে পরমীতের দেখা মেলে। অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমরা পেমেন্ট করে দিয়েছিলাম, এবং টিকিট খুব একটা সস্তা না। দুবাইয়ে আমাদের টাকা ডুবে গেল। দুবাইয়ে এরকম হবে ভাবিনি। এখানকার প্রশাসনিক নিয়মকানুন অত্যন্ত কড়া, মানুষ এখানে নিয়ম ভাঙতে ভয় পান। ভারতে তো আমরা সর্বক্ষণ বিভিন্ন নম্বর বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে সতর্ক থাকি।’
এমন কীর্তি করে স্বভাবতই খানিক বেশিই খারাপ লাগছে আর্যমানের। তাঁর কথায়, ‘এখন আমি ওই ওয়েবসাইটটাই খুঁজে পাচ্ছি না। আমারও সন্দেহ হয়েছিল কারণ আমি মিডল প্যাকেজটা নিয়েছিলাম ৪ মিনিটের জন্য, কিন্তু চেকআউটের সময় আমাকে ২ মিনিট দেখালো। তখন ভাবলাম কোনও গন্ডগোল হচ্ছে। খুব রাগ হচ্ছে এখন।’ কিছুক্ষণ পরেই তাঁর স্বীকারোক্তি, প্রতারকরা নিজেদের কাজটা বেশ ভালোই করেছে। অর্চনা সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘ওদের উৎসাহ দিও না, সাধারণ মানুষের শত্রু এরা।’ হতাশ দেখায় পরমীতকেও। তিনি এই অনলাইন প্রতারণা নিয়ে একটি শো করেছিলেন, ‘হ্যাক ক্রাইম অনলাইন’।
আরও পড়ুন
যদিও শেষমেশ পরমীতকে দেখা যায় নগদ টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে। ইন্ডোর স্কাইডাইভিং সেশন উপভোগ করেন তাঁরা এবং তারপরেই যান পেটপুজো করতে। আলিয়া ভট্টের প্রিয় ডেজ়ার্ট চেখে দেখেন, আর্যমান একটি পনীরের আইটেম খান। স্যুইৎজারল্যান্ডেও তাঁরা মেনুতে পনীর আছে এমন রেস্তোরাঁতেই যেতেন খেতে।
