রাজ্যে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অতিবৃষ্টির ফলে উদ্বিগ্ন নবান্ন। ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন জেলার একাধিক অঞ্চল জলমগ্ন। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে জেলায় জেলায় পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন মুখ্যসচিব। জেলাশাসকদের নির্দেশ দ্রুত প্রতিটি জেলায় জলমগ্ন পরিস্থিতি ও কৃষিজ পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে তার বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে।
ভারি ও অতি ভারি বৃষ্টির ফলে যেসব অঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে সেখানকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি ত্রাণ যাতে দ্রুত পৌঁছয় তার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সাপে কাটার ওষুধসহ ডায়েরিয়া বা আন্ত্রিক এর মতো রোগের ওষুধের ব্যবস্থা যেন স্বাভাবিক থাকে সে ব্যাপারেও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
জলবন্দি পরিস্থিতি থেকে কৃষিজ পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ সামগ্রী বা ওষুধের জোগানের পাশাপাশি নদীগুলির জলের উচ্চতার উপরও নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জলাধারগুলিকে নিয়মিত নদীর জলের উচ্চতার রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নদী বাঁধগুলি কী অবস্থায় রয়েছে সে সম্বন্ধেও বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন নবান্ন। নদী বাঁধগুলির সুরক্ষায় যা যা করণীয় তা দ্রুত সেচ দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ গুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
অন্যদিকে শহর এবং শহরতলির জমা জল সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় পাম্পের ব্যবস্থা করার জন্য পুরসভা ও পুরনিগমগুলিকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।জেলার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে নবান্নের কন্ট্রোল রুমের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে। সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধে না হয় এবং সরকারি সাহায্য যাতে সঠিক সময়ে পৌঁছয় সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।
