৩৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি। রাজধানী সংলগ্ন গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লিতে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৪। শুক্রবার রাতে ভূমিকম্পের মাত্রা ৩.৭। হরিয়ানার ঝাঝার জেলায় ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র। কিন্তু কেন বারবার কম্পন হচ্ছে দিল্লিতে? উদ্বেগের কারণ কি রয়েছে? রইল বিস্তারিত।
দিল্লিতে ভূমিকম্প নতুন কিছু নয়। গত ফেব্রুয়ারিতেও ৪.০ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল রাজধানী। ভারতের ভূমিকম্প প্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে সিসমিক জোন IV অর্থাৎ চতুর্থ সারিতে রয়েছে দিল্লি। তবে হিমালয়ের পার্বত্য এলাকায় ভূমিকম্প হলে দিল্লিতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। মাঝারি মানের অর্থাৎ রিখটার স্কেলে ৫-৬ তীব্রতার ভূমিকম্প আকছারই দেখা যায় দিল্লিতে। তবে ৭-৮ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প সচরাচর হয় না।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
অন্যদিকে একাধিক চ্যুতিরেখার কাছে দিল্লির অবস্থান। মহেন্দ্রগড়-দেরাদুন চ্যুতিরেখা ও দিল্লি-হরিদ্বার চ্যুতিরেখা বরাবর অবস্থিত রাজধানী। ওই দুটিই সক্রিয় চ্যুতিরেখা। অন্যদিকে একাধিক দুর্বল চ্যুতিরেখাও রয়েছে দিল্লির ভূতলের ধার ঘেঁষে। যাদের মধ্যে মোরাদাবাদ চ্যুতি, সোহনা চ্যুতি, গ্রেট বাউন্ডারি চ্যুতি, দিল্লি-সারগোধা চ্যুতি, যমুনা ও গঙ্গা নদীর অঙ্গরেখা রয়েছে। ওই সমস্ত চ্যুতিরেখা বরাবর পাতের সংঘর্ষ অথবা পরস্পরের দূরে চলে যাওয়ার কারণে ভূমিকম্প হয়। তবে ১৭২০ সালের পর থেকে মাত্র পাঁচবারই ৫.৫ থেকে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে দিল্লিতে। তাছাড়া বাকি সবই মৃদু কম্পন অননুভূত হয়েছে।
