মধ্যবিত্তদের জন্য স্বস্তির খবর। ৭১টি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বেঁধে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই তালিকায় ক্যানসার, ডায়াবেটিসের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধও আছে। সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্রের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’ অর্থাৎ এনপিপি এই সমস্ত ওষুধের দাম বেঁধে দিয়েছে। ফলে দাম ইচ্ছা করলেই আর বাড়ানো যাবে না। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
মূল্যবৃদ্ধির গেরোয় সাধারণ মানুষ। সব জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। এই অবস্থায় ক্রমবর্ধমান ওষুধের দাম বৃদ্ধি রীতিমত চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে আমআদমিকে। সর্বভারতীয় খবর অনুযায়ী, যে সমস্ত ওষুধের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেই তালিকায় মেলাস্ট্যাটিক স্তন ক্যানসার এবং গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ওষুধও রয়েছে। এই নিয়ম নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি ওষুধের ক্ষেত্রেও কার্যকর। ‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’র তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এক্ষেত্রে শুধু জিএসটি যোগ হবে।
এর মধ্যে ‘রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্সেস’ সংস্থা ‘ট্রাস্টুজ়ুমাব’ বলে একটি ওষুধ আছে। যা মেলাস্ট্যাটিক স্তন ক্যানসার এবং গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই ওষুধের দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। ভায়াল পিছু ওই ওষুধের দাম হচ্ছে ১১ হাজার ৯৬৬ টাকা।
বাকি ওষুধের দাম কত?
এছাড়াও বেশ সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত সেট্রিক্সন, ডিসোডিয়াম এডিটেট এবং সালব্যাকটাম পাউডারের দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এই পাইডারগুলি মাত্র ৬২৬ টাকায় কেনা যাবে। কম্বপ্যাকের ডাম মাত্র ৫১৫ টাকা রাখা হয়েছে। এছাড়াও এনপিপিএ’র জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে এমন ২৫ টি ওষুধের দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এগুলির মধ্যে সিটাগ্লিপ্টিন উপাদান রয়েছে। এছাড়াও এম্পাগ্লিফ্লোজিন সংমিশ্রণ রয়েছে এমন কোনও ডায়াবেটিসের ওষুধও এই তালিকায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আছে কিছু সংস্থার তৈরি প্যারাসিটামল ওষুধও।
‘ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি’ অর্থাৎ এনপিপি কেন্দ্রের একটি সংস্থা। খুচরো ব্যবসায় ওষুধের দাম কত হবে তা নির্ধারণ করে থাকে। সংস্থার তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারীকে ওষুধের মূল্য তালিকা ডিলার, রাজ্য ওষুধ নিয়ন্ত্রক এবং সরকারের কাছে পাঠাতে হবে। গত কয়েকমাস আগেই মধ্যবিত্তের উপর চাপ বাড়িয়ে একাধিক ওষুধের দাম বাড়ানো হয়। যা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
