বাংলাদেশ ভাঙা পড়ছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃকবাড়ি। ময়মনসিংহ জেলায় এই বাড়ি দীর্ঘ ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে। আর সেই বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘটনায় মঙ্গলবারই উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেও উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানান। এই ঘটনায় সরব হলেন এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, রায় পরিবারের পৈতৃকবাড়ি সংরক্ষণের বিষয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলুক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে তা যাতে বলা হয় সেই আবেদন রেখেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
দীর্ঘ ইতিহাস বহন করে চলা বাড়িটির মালিক প্রয়াত জমিদার হরিকিশোর রায়ের। যিনি সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বংশধর। দীর্ঘ সময় সেই বাড়িতেই বসবাস করেছেন উপেন্দ্রকিশোর রায়। কালের নিয়মে সেই বাড়িটি ভেঙে বহুতল তৈরির সিদ্ধান্ত। বর্তমানে শিশু অ্যাকাডেমি হিসেবে ব্যবহার করা হত বাড়িটি। যদিও সংস্কারের অভাবে বাড়িটি ধ্বংসাবশেষ অবস্থা। আর তাই সেটি ভেঙে বহুতল তৈরির সিদ্ধান্ত।
আর এই খবর সামনে আসতেই বাংলাদেশের বহু মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এমনকী মঙ্গলবার এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশ সরকার যাতে বাড়িটিকে সংরক্ষণ করে সেই আবেদন জানান। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান আরও লেখেন, এই সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
তাঁর কথায় ‘রায় পরিবার বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। উপেন্দ্রকিশোর বাংলার নবজাগরণের একজন স্তম্ভ। তাই আমি মনে করি, এই বাড়ি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত’। এই বিষয়ে ভারত সরকার যাতে উদ্যোগী হন সেই আবেদনও করেন। আর এরপরেই এই ইস্যুতে আজ বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের পারিবারিক বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘটনায় আমি মর্মাহত। সম্পত্তিটি অস্কারজয়ী সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর। যিনি বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতির একজন মহান ব্যক্তিত্ব’।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
ফলে সেই সম্পত্তি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তৃণমুলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি যাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখে সেই আবেদনও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত বাড়িটি রক্ষা করতে ভারতে সরকার যাতে ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে সেই আবেদনও জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মঙ্গলবারই কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে ঢাকাকে। ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত বাড়িটি যাতে বাংলাদেশ সরকার পুনর্নির্মাণ করে সেই আবেদন জানিয়েছে ভারত সরকার। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে অর্থ সাহায্য করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।