ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ৮ ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে এআইএফএফ। নয়াদিল্লিতে আগামী বৃহস্পতিবার রয়েছে প্রস্তাবিত বৈঠক। আইএসএল ঘিরে অনিশ্চয়তার মাঝে এমন বৈঠকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে ফেডারেশন। আইএসএল-এর ক্লাব অফিসিয়ালদের সঙ্গে প্রস্তাবিত বৈঠকে থাকছে না ময়দানের তিন প্রধান, মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট, ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডান স্পোর্টিং। কলকাতার ৩ ক্লাবের মতোই, ফেডারেশনের চিঠি পায়নি মুম্বই এফসি এবং চেন্নাই এফসি ও।
এআইএফএর এর মার্কেটিং পার্টনার ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড তথা এফএসডিএল। তাদের সঙ্গেই, সম্প্রতি মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট ঘিরে শুরু হয়েছে সংঘাত। এফএসডিএল-এর সঙ্গে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফেডারেশনের চুক্তি রয়েছে। আর সেই কারণেই চুক্তির সময়সীমা না বাড়ালে এবারের আইএসএল শুরু করা সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছে বিপণন সংস্থা, এফএসডিএল।
স্বভাবতই আইএসএল কবে শুরু হবে কিংবা এবছর আদৌ হবে কী না, তা নিয়ে যেমন জটিলতা তৈরি হয়েছে, তেমনি বিপাকে পড়েছে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলিও। এফএসডিএল এবং এআইএফএফ এর টানাপোড়েনে ক্লাব কর্তাদের পাশাপাশি ভুগতে হচ্ছে ফুটবলারদেরও। একদিকে যখন ভালো দলগড়ার ঝুঁকি নিতে নারাজ ক্লাব কর্তারা, তেমনি চুক্তিবদ্ধ পুরনো ফুটবলারদের পেমেন্ট ঘিরেও তৈরি হয়েছে নানান অনিশ্চয়তা। বেঙ্গালুরু এফ সির মতো ক্লাবও সুনীল ছেত্রীদের জুলাই মাসের পেমেন্ট দিতে পারবে না বলে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে।
আইএসএল নিয়ে ফেডারেশনের বক্তব্য জানতে সম্প্রতি ৮ টি ক্লাব চিঠি পাঠিয়েছিল। ফুটবল ঘিরে নিয়ামক সংস্থার কী ভেবেছে জানতে চেয়ে। ফেডারেশের কাছে পাঠানো চিঠিতে সই ছিল এফসি গোয়া, নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড, কেরালা ব্লাস্টার্স, ব্যাঙ্গালুরু এফসি, পাঞ্জাব এফসি, হায়দরাবাদ এফসি, ওড়িশা এফসি, এবং জামশেদপুর এফসি অফিসিয়ালদের।
ফেডারেশনের কাছে পাঠানো ৮ ক্লাবের সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই বৈঠকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছেন এআইএফএফ কর্তারা। যদিও এফএসডিএল এর সঙ্গে টানাপোড়েন চলা সত্ত্বে ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে কিন্তু সবসময়ই দাবি করেছেন স্থগিত রাখা আইএসএল শুরু হবেই। মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট ঘিরে সমস্যাও কেটে যাবে। স্বভাবতই রাজধানীতে ফেডারেশনের সদর দফতরে বৃহস্পতিবারের বৈঠক ঘিরে তাকিয়ে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলি।
