ইউক্রেন যুদ্ধ, ট্রাম্পের দাদাগিরি, ট্যারিফ যুদ্ধ ঘিরে এই মুহূর্তে আন্দোলিত হচ্ছে গোটা বিশ্বের রাজনীতি।এশিয়ায় আরও কাছাকাছি আসছে ভারত ও চিনের মত বৃহৎ শক্তি। এমন পরিস্থিতিতেই ভারতের উপর শুল্ক আরোপের কিছুটা নতুন সংজ্ঞা নিয়ে হাজির হল ট্রাম্প প্রশাসন।হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট মঙ্গলবার জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যাহত রাখা ঠেকাতেই ভারতের উপর শুল্ক আরোপ করেছেন।
বন্ধুরাষ্ট্র বলে পরিচিত হলেও ভারতের রুশ তেল কেনার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রাথমিক ২৫% শুল্কের ওপর অতিরিক্ত আরও ২৫% যোগ করে মোট ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন ট্রাম্প।মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাবনা ছিল এতে দিল্লি মস্কো থেকে তেল কেনা অচিরেই বন্ধ করবে। কিন্তু ট্রাম্পের এমন নীতিকে দিল্লি অন্যায়, অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য বলে নিন্দা করেছে।পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছেন, দেশের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না।বলা হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক নীতি আমেরিকা-ভারত সুসম্পর্কে প্রভাব ফেলবে যা মোটেই কাম্য নয়।
ভারতের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই নীতির কড়া সমালোচনা করেছে মার্কিন কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি।তারা বলেছে এই পদক্ষেপ ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া থেকে আটকাতে পারবে না।তাদের মতে, ট্রাম্প যদি সত্যিই রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে চান তবে শাস্তি দেওয়া উচিত সরাসরি পুতিনকে।পাশাপাশি সামরিক সহায়তা দেওয়া উচিত ইউক্রেনকে।
যদিও নিজেদের নীতিতেই অনড় ট্রাম্প প্রশাসন। প্রেস ব্রিফিংয়ে ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ শেষ করতে প্রকাশ্যে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করছেন। তিনি ভারতের উপর শুল্কসহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।তিনি খুব স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে তিনি চান এই যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক এবং যারা বলছেন বৈঠকের আগে আরও এক মাস অপেক্ষা করা উচিত—তাদের ধারণাকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।”
আসলে যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের পদক্ষেপকে সঠিক বলে দাবি করে এবার তা গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে মাঠে নেমেছে মার্কিন প্রশাসন।তাই লেভিট বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট যত দ্রুত সম্ভব শান্তি আনতে চান। ন্যাটো মহাসচিব সহ সব ইউরোপীয় নেতা এই ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে এটি একটি বড় প্রথম পদক্ষেপ। দুই নেতা আলোচনায় বসবেন—এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং প্রেসিডেন্ট আশা করছেন সেটি শিগগিরই ঘটবে।”
Leave a comment
Leave a comment