শান্তাকুমারন শ্রীসন্থকে হরভজন সিংয়ের চড় মারার ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে ক্রমেই বাড়ছে উত্তাপের আঁচ। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে মাইকেল ক্লার্কের মুখোমুখি হয়ে ২০০৮ আইপিএল চলাকালীন ঘটা এই ঘটনার একটি অদেখা ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছিলেন আইপিএলের প্রাণপুরুষ তথা তৎকালীন চেয়ারম্যান ললিত মোদি। যার প্রতিবাদে সমাজ মাধ্যমে মোদি-ক্লার্ককে কার্যত তুলোধোনা করে একটি লম্বা পোস্ট দেন শ্রীসন্থের স্ত্রী ভুবনেশ্বরী। এবার চুপ থাকলেন না হরভজন স্বয়ংও।
২০০৮ সালে ইতিহাসের প্রথম আইপিএলেই শান্তাকুমারন শ্রীসন্থকে চড় মেড়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন হরভজন সিং। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (অধুনা পাঞ্জাব কিংস) ম্যাচের শেষে ঘটেছিল এই ঘটনা। পরবর্তীতে যা পরিচিতি পায় ‘স্ল্যাপগেট’ কাণ্ড নামে। ১৮ বছর পর সেই ঘটনার অদেখা মূল ফুটেজ ক্লার্কের সঙ্গে আলাপচারিতায় মোদি ফাঁস করার পরই তেড়েফুঁড়ে ওঠেন শ্রীসন্থ-পত্নী ভুবনেশ্বরী শ্রীসন্থ। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই ফুটেজ ফাঁসের ঘটনাকে ‘জঘন্য, নির্দয় এবং অমানবিক’ আখ্যা দেন তিনি।
এবার স্বয়ং ভাজ্জির দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে নিশ্চিতভাবেই কোনও স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে ললিত মোদির।
সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ললিত মোদি এবং মাইকেল ক্লার্ককে সরাসরি ‘স্বার্থপর’ দাবি করেছেন হরভজন। তিনি বলেন, “যেভাবে ভিডিয়োটি ফাঁস হয়েছে, সেটা ভুল। এমনটা হওয়া উচিত ছিল না। এর পিছনে ওদের কোনও স্বার্থ থাকতে পারে। ১৮ বছর আগের ঘটনা মানুষ ভুলে গিয়েছে। আর ওরা সেটা আবার মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।” আরও যোগ করেন, “যা ঘটেছে, তার জন্য খুবই খারাপ লাগে আমার। আমরা খেলছিলাম, আর সবার তখন মনে কিছু না কিছু চলছিল। ভুল হয়েছে। আর আমি তার জন্য লজ্জিত।”
ফাঁস হওয়া ফুটেজটিতে দেখা গিয়েছে ঠিক কীভাবে শ্রীসন্থকে চড় মেরেছিলেন ভাজ্জি। তাঁকে হাত ঘুরিয়ে একটি চাপড় মারতে দেখা গিয়েছে। এর আগে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে হাজির হয়েও ঘটনাটি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন টার্বুনেটর। তিনি বলেছিলেন, “এই একটা ঘটনাই যা আমি আমার জীবন থেকে মুছে ফেলতে চাই। যা ঘটেছিল তা ভুল ছিল। আমি এর জন্য ২০০ বার ক্ষমা চেয়েছি। তবু এখনও মনে পড়লে খারাপ লাগে। তাই যখনই সুযোগ পাই, ক্ষমা চেয়ে নিই।” এই ঘটনার জন্য শ্রীসন্থের বাচ্চা মেয়ে তাঁকে ক্ষমা করতে পারেনি বলেও জানিয়েছিলেন হরভজন।
এবার ফুটেজ ফাঁসের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও আরেকবার ক্ষমা চেন নেন ভাজ্জি। তাঁর কথায়, “হ্যাঁ, ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ছিল। আর এরপর থেকে আমি অনেকবার স্বীকার করেছি যে আমি ভুল করেছিলাম। মানুষমাত্রই ভুল করে। আর আমিও একটি ভুল করেছি। ভগবান গণেশের কাছে আমি প্রার্থনা করেছি যে, আমি যদি আবার ভুল করি তাহলে তিনি যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন। ভুল তো হয়ই।”
