১ সেপ্টেম্বরের পরেও নির্বাচন কমিশনকে বিহারের সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়ে দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে। এসআইআর সংক্রান্ত মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ‘আস্থার ঘাটতি’ দুর্ভাগ্যজনক।
বিহারে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর বিরুদ্ধে মূল মামলাটি করেছিলেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম (এডিআর)-এর পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। আগস্ট মাসে নতুন ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, এই তালিকা নিয়ে কোনওরকম আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা ১ সেপ্টেম্বর। ওই তালিকায় স্বচ্ছতার অভাবের পাশাপাশি প্রশান্ত ভূষণ সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ফের তিনি দাবি করেন, এসআইআর প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।
অন্যদিকে কমিশনের পক্ষে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী যুক্তি দেন, “বিহারের সাধারণ মানুষ এই প্রক্রিয়ায় কোনও সমস্যা দেখছেন না। সমস্যা শুধু মামলাকারীদের।”
তিনি জানান, কমিশনের কাছে যেসব আবেদন এসেছে, তার অধিকাংশই ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার দাবি, নতুন নাম যুক্ত করার আবেদন তুলনায় অনেক কম।
বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এই আস্থার ঘাটতি দুর্ভাগ্যজনক।”
আদালত আরও জানিয়েছে, “মনোনয়নের শেষ দিন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। অন্তর্ভুক্তি বা বর্জনের সব দাবি চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় একত্রিত করা হবে। তাই দাবি, আপত্তি ও সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন দাখিল চালিয়ে যাওয়া যাবে।”
বিরোধী শিবির দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে নির্বাচন কমিশন শাসক বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত করছে। কমিশন এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে। বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলি পরপর নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে এখন কমিশনকে আক্রমণের লক্ষ্য করছে।
