স্বাস্থ্য ও জীবনবিমায় পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) সম্পূর্ণ মকুব করল কেন্দ্র। লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই বিষয়ে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর এই ঘোষণা করলেন। এতদিন এই খাতে ১৮% জিএসটি কার্যকর ছিল, যা শূন্যে নামানোর ঘোষণা করলেন তিনি। এটি কার্যকর হবে বাইশ সেপ্টেম্বর থেকে।
তিনি জানান, জিএসটি কাউন্সিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এই হার কমানো হয়েছে এবং সব রাজ্যের মন্ত্রীরাই হারের পুনর্বিন্যাসকে সমর্থন করেছেন।
কাউন্সিল বর্তমানে ৫, ১২, ১৮ ও ২৮ শতাংশ, এই চার স্তরের হার সরলীকরণ করে দুই স্তরে নামিয়ে আনতে অনুমোদন দিয়েছে। নতুন কাঠামো হবে ৫ ও ১৮ শতাংশ। তবে বিলাসবহুল গাড়ি, তামাক ও সিগারেটের মতো নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের জন্য বিশেষ ৪০ শতাংশ স্ল্যাব প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপের ফলে স্বাস্থ্য ও বিমা খাতে প্রিমিয়াম খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। ফলে আরও বেশি পরিবার স্বাস্থ্যবিমা নিতে উৎসাহিত হবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান সহ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও অর্থ জোগানের পরিমাণ বাড়বে।
কেন্দ্রীয় সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনবিমা খাতে আরোপিত জিএসটি থেকে সংগ্রহ হয়েছে মোট ১৬,৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জীবনবিমা থেকে ৮,১৩৫ কোটি এবং স্বাস্থ্যবিমা থেকে ৮,২৬৩ কোটি টাকা এসেছে। এছাড়া পুনর্বিমা খাতে সংগৃহীত জিএসটি থেকে এসেছে আরও ২,০৪৫ কোটি টাকা।
এইচএসবিসি-র বিশ্লেষণ বলছে, জিএসটি সম্পূর্ণ অব্যাহতি দিলে স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম প্রায় ১৫ শতাংশ কমতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সরকারের বছরে প্রায় ১.২ থেকে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব ঘাটতি হবে। তবে অন্যান্য বিলাসবহুল দ্রব্যের কর বাড়িয়ে সেই টাকা সরকার তুলে নিতে পারবে।
