ঘরের মাঠে ধোনিদের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ে অনস্বীকার্য ভূমিকা ছিল মনোবিদ প্যাডি আপটনের। এর পর গত ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় হকি দলেও মনোবিদের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। আবার একই বছরে দাবায় সর্বকনিষ্ঠ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ডি গুকেশ। তাঁর মনোবিদ হিসেবেও কাজ করেছেন আপটন। সম্প্রতি এশিয়া কাপের আগে আবার হকি দলে ফিরে তিনি এমন এক মন্তব্য করলেন যা কার্যত হতবাক করে দিচ্ছে সকলকে।
ক্রেইগ ফুলটন আর তাঁর দলকে এশিয়া-সেরা করার লক্ষ্যে ফিরে এসেছেন আপটন। এই প্রতিযোগিতা জিতলে আগামী বছর বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত হতে চলা হকি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে ভারত। যে স্বপ্ন ইতিমধ্যেই দেখতে শুরু করেছেন সমর্থকরা। তাঁদের কার্যত ইন্ধন জুগিয়ে আপটনের দাবি, বড় শিরোপা জয় কিংবা অলিম্পিক্সে সোনা জয় ভারতীয় দলের জন্য স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। আর এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে তিনি টেনে এনেছেন বিরাট কোহলির নাম।
ভারতীয় হকি খেলোয়াড়দের ফিটনেসের সঙ্গে কিং কোহলির ফিটনেসের তুলনা টেনে প্যাডি আপটন বলেন, “ভারতীয় হকি খেলোয়াড়দের যা ফিটনেস সেটা দেখলে মনে হয়ে যেন দলে ১৮ জন বিরাট কোহলি রয়েছেন।” আরও বলেন, “আমি হকি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানি না। তাই আমার কাছে এটা শেখার সময়। খেলাটি সম্পর্কে জানতে আমি উৎসুক। ব্যক্তিগতভাবে, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আমি হকিতে কাজ করছি। আমি বুঝতে পারছি না, কেন হকি এত জনপ্রিয় নয়। কেন বেশি মানুষ এটা দেখে না? আমার তো মনে হয়, খেলোয়াড়দের শারীরিক দক্ষতা সত্যিই অসাধারণ।”
আপটন স্পষ্টতই জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং দক্ষতা দেখে তিনি বিস্মিত। তাঁর কথায়, “তাঁদের খেলার গতি অবিশ্বাস্য। এই খেলোয়াড়রা যে পরিমাণ প্রস্তুতি নিয়েছে, যে গতি এবং তীব্রতায় তারা ৬০ মিনিট খেলতে পেরেছে, তা সত্যিই উচ্চস্তরের। এই দলটি দুর্দান্ত ফিট। তারা অবিশ্বাস্য রকমের দক্ষ।” এর পাশাপাশি হকি দলের কোচ ক্রেইগ ফুলটনেরও প্রশংসা করেছেন আপটন। বলেন, “হ্যাঁ, এই দলটির যা প্রয়োজন তাই তারা পেয়েছে। এ ছাড়া কোচের একটি দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিও রয়েছে, যা দুর্দান্ত। আমি মনে করি, একজন কোচের সেই দৃষ্টিভঙ্গি থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্রেইগ তাঁর পরিকল্পনা, কৌশল এবং দীর্ঘমেয়াদি চিন্তাভাবনার দিক থেকে আমার দেখা সবচেয়ে বুদ্ধিমান কোচদের একজন।”