প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণার পর প্রত্যাশিতভাবেই শতাধিক জিনিসের উপর কমেছে জিএসটির হার। বহু পণ্য সম্পূর্ণ করমুক্ত করা হয়েছে। কর হ্রাসের জেরে সরকারের প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব অরবিন্দ শ্রীবাস্তব বলছেন, কর হ্রাসের কারণে সরকারের বিশেষ কিছু ক্ষতি হবে না। খুব বেশি হলে সরকারের কোষাগারে ৪৮ হাজার কোটি টাকা কম আসবে। তবে সরকার অন্যভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।
এ প্রসঙ্গে শ্রীবাস্তব বলেন, কর কমানোর কারণে শতাধিক জিনিসের দাম কমতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের হাতে কিছু বাড়তি নগদ অর্থ আসবে। যে টাকা দিয়ে মানুষ আরও বেশি ক্রয় করতে পারবেন। ফলে সেখান থেকেও কিছু কর আসবে সরকারের ঘরে। যা সরকারের সেই রাজস্ব ঘাটতি পুষিয়ে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, বুধবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে একাধিক পণ্যের শুল্কের হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আবার বহু পণ্যের উপর কর তুলে দেওয়া হয়েছে। হাতে গোনা অল্প কিছু পণ্যে করের হার বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন কর ধার্য হবে। কর কমার কারণে বিভিন্ন জিনিসের দাম কমলে মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে সরকারের আশা। সেক্ষেত্রে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মনে করছে সরকার। বুধবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, কর হ্রাসের সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতভাবেই নেওয়া হয়েছে। কোনও রাজ্যই এর বিরোধিতা করেনি। তাঁর আশা, এই সিদ্ধান্ত জিডিপির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শিল্পসংস্থাতেও কর হ্রাসের প্রভাব ইতিবাচক হবে। কর হ্রাসের কারণে কৃষিক্ষেত্র এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও সুবিধা পাবে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
Leave a comment
Leave a comment
