গোটা বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো যে ভাবে তাঁর রক্তচক্ষুকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে তাতে মনমেজাজ ভাল নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আসলে তিনি যেভাবে চালাতে চান সেভাবে চলছে না দুনিয়া। এবার বিভিন্ন দেশ এভাবে বেসুরো গাওয়ায় তিনি কেন পদক্ষেপ করছেন না এমন প্রশ্নের উত্তরে ‘ইন্ডিয়া’র উদাহরণ দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, রাশিয়ার তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর তিনি সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।পাশাপাশি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এখনও তিনি দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপ শুরুই করেননি।
ওভাল অফিসে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট কারোল নাভরোকির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় এক পোলিশ সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করে বসেন তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাজে হতাশ হলেও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি কেন?
এই প্রশ্ন শুনেই ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প।পাল্টা জবাবে ট্রাম্প ভারতের ওপর সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কথা বলেন। তাঁর দাবি এতে দু-তরফে ক্ষতি হয়েছে। প্রথমত পশ্চিমী দুনিয়ার বেঁধে দেওয়া কম দামে চিন ও ভারতকে তেল বেচতে হচ্ছে মস্কোকে।এতে রাশিয়ার শত শত বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি তেল কিনে বড় শুল্ক দিতে হচ্ছে দিল্লিকে। এমন ব্যাখ্যা দেওয়ার পরই ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়টা বুঝতে না পারায় তাঁর নতুন চাকরি খোঁজা উচিত বলে তোপ দাগেন ট্রাম্প। অনেকেই মনে করছেন ট্রাম্প যে ঢোক গিলে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাপ নিষেধাজ্ঞার কথা বলছেন তাতেই ইউক্রেন যুদ্ধ জারি রাখার জেরে মস্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ইঙ্গিতটা থেকে গেছে।
ট্রাম্প ইতিমধ্যে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ রেসিপ্রোকাল শুল্ক এবং রাশিয়ার তেল কেনার জন্য অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। ফলে গত ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকরভাবে ভারতের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। যদিও ভারত এই শুল্ক চাপানোকে ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্ট করে দিয়েছেন—চাষি, পশুপালক, ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থে ভারত কোনও আপস করবে না। চাপ বাড়লে তা সামলে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে দিল্লি।