রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার জেরে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। আসলে এক সময়ের বন্ধু হলেও বিপুল ট্যারিফ চাপিয়ে ভারতকে সবক শেখাতে চায় আমেরিকা।আদালতে প্রাথমিক ধাক্কা খেলেও এখনই শুল্ক কমানোর বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করার মতো কোনও পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি বলেই মনে করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।যদিও আমেরিকার এমন দাদাগিরি মানবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি।উল্টে টেক্সটাইল, জেমস বা রত্ন ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে ৫০% শুল্কের চাপ বাড়ায় এবার রপ্তানিকারকদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হচ্ছে কেন্দ্র। সরকার এমন একটি ত্রাণ প্যাকেজের খসড়া করছে, যার মূল উদ্দেশ্য রপ্তানি খাতে বিনিয়োগ বজায় রাখা ও কর্মসংস্থান সুরক্ষিত রাখা।
সদ্য জিএসটি সংস্কার ঘরোয়া বাজেটে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে।ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোয় যে সব ভারতীয় রপ্তানিকারকরা সমস্যায় তাদের জন্য সহায়তার ঘোষণা করতে পারে মোদি সরকার।প্যাকেজের মূল লক্ষ্য ছোট ও মাঝারি রপ্তানিকারকদের অর্থের জোগানের সমস্যার সমাধান করা।এক্ষেত্রে বিপুল মূলধনের অভাবে ও বিদেশি ক্রেতাদের দেরিতে অর্থ দেওয়ার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বিপাকে পড়েছে। সরকারের পরিকল্পনা হল সহজে ঋণ নিশ্চিত করা যাতে ব্যবসা চালু থাকে।
কোভিডকালে এমএসএমই ক্ষেত্রকে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবারও একই ধরনের সহায়তা মডেল নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে।চাপের মুখে পড়া চামড়া ও ফুটওয়্যার, রাসায়নিক দ্রব্য, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, কৃষি ও সামুদ্রিক রফতানি ক্ষেত্রকেও সাহায্য করা হবে প্যাকেজের মাধ্যমে।
Leave a comment
Leave a comment