বিহারকে বিড়ির সঙ্গে তুলনা করার জের। পদত্যাগ করতে হল কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সোশ্যাল মিডিয়া প্রধানকে। শুক্রবার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ভি টি বলরাম। কংগ্রেসের সরকারি এক্স হ্যান্ডলে বলরামের সরে দাঁড়ানোর খবর জানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে একাধিক পণ্যের উপর জিএসটির হার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। পাশাপাশি মাদক, গুটখা, সিগারেটের মতো ক্ষতিকর দ্রব্যের উপর কর বাড়ানো হয়েছে। ব্যতিক্রম বিড়ি। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করে কেরল কংগ্রেস। দলের কেরল শাখার তরফে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয়, “বিহার এবং বিড়ি দুটি শব্দেরই প্রথম অক্ষর বি। তাই বিড়ির মতোই এখন বিহারকে আর খারাপ বলা যাবে না।”
যদিও পরে ওই পোস্ট মুছে দেওয়া হয়। জিএসটি কাউন্সিল বিড়ির উপর ধার্য থাকা ২৮ শতাংশ কর কমিয়ে ১৮ শতাংশ করেছে। একই সঙ্গে তেন্ডু পাতা, যা বিড়ি তৈরির মোড়ক হিসেবে ব্যবহার হয়, তার উপর করও কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। অথচ সিগারেটের উপর চেপেছে বাড়তি কর।
কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সোশ্যাল মিডিয়া প্রধানের ওই
মন্তব্যের বিরুদ্ধে রে রে করে আসরে নামে বিজেপি। তারা অভিযোগ করে, বিহার এবং বিহারের মানুষকে অপমান করেছে কংগ্রেস। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যাচ্ছে বুঝতে পেরে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী আরজেডি-ও দ্রুত সেই মন্তব্য থেকে দূরত্ব তৈরি করে । উল্লেখ্য, বিহারই দেশের অন্যতম প্রধান বিড়ি উৎপাদনকারী রাজ্য। বিহারে প্রায় ৭০ লক্ষ শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
রাজনৈতিক মহলে আশঙ্কা, কেরল কংগ্রেসের নেতার ওই মন্তব্য ভোটমুখী বিহারে দলের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা দেবে। বিজেপি এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করার একটি নতুন অস্ত্র হাতে পেয়ে গিয়েছে। জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “বি মানে শুধু বিড়ি নয়, বি মানে বুদ্ধি, যা কংগ্রেসের নেই। বি মানে বাজেটও। বাজেটে বিহার বিশেষ সাহায্য পেলে কংগ্রেসের কষ্ট হয়। এই ধরনের পোস্ট শুধু বিহারের মানুষকেই নয়, দেশের গৌরবময় ইতিহাস এবং গণতন্ত্রকেও অপমান। আসন্ন নির্বাচনে বিহারের মানুষ এর জবাব কংগ্রেসকে দেবে।’’
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, “বি যদি বিহার আর বিড়ি হয়, তবে সি মানে কংগ্রেস। সি মানে কোরাপশন।”
