মঙ্গলবারের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)-র জয় প্রায় নিশ্চিত। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এই জয় ২০২২ সালের মতো বিপুল ব্যবধানে নাও হতে পারে।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় সংসদের দুই কক্ষের সমস্ত সাংসদের ভোটে। লোকসভার ৫৪২ এবং রাজ্যসভার ২৩৯ সদস্য মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ৭৮১। কিন্তু ওডিশার বিজু জনতা দল (বিজেডি) এবং তেলেঙ্গানার ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি (বিআরএস) ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এবার কার্যকর ভোটার থাকছেন ৭৭০ জন। সেক্ষেত্রে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার দাঁড়াচ্ছে ৩৮৬টি ভোট।
এনডিএ শিবিরে রয়েছে ৪২৫ সাংসদ। প্রার্থী হিসেবে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণনের জয় তাই নিশ্চিত বলেই ধরা হচ্ছে। উপরন্তু, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের (১১ সাংসদ) সমর্থন পেতে চলেছে এনডিএ। সবমিলিয়ে রাধাকৃষ্ণন ৪৩৬ থেকে ৪৫৮ ভোট পর্যন্ত পেতে পারেন। যদিও এই সংখ্যা ২০২২ সালে জগদীপ ধনখড়ের রেকর্ড ৫২৮ ভোটের তুলনায় অনেক কম, তবুও জয় সুনিশ্চিত।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের প্রার্থী হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি। বিরোধী শিবিরের হাতে কেবল ৩২৪ ভোট থাকায় তাঁদের জয়ের সম্ভাবনা কার্যত নেই। সব বিরোধী সাংসদ একযোগে ভোট দিলেও অন্তত ৭০ থেকে ১৩৫ ভোটের ঘাটতি থেকে যাবে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিরোধীরা আসলে এই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে একটি কৌশলগত বার্তা দেওয়ার জন্য। গতবারের তুলনায় বিরোধী শিবির অনেক শক্তিশালী হয়েছে তা প্রদর্শন করাই তাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের কর্মী ও সমর্থকদের উজ্জীবিত করাও উদ্দেশ্য।
বিশ্লেষকদের মতে, ফলাফলের দিক থেকে অঘটনের সম্ভাবনা নেই। তবে ভোটের অঙ্ক ও সম্ভাব্য ক্রস-ভোট নিয়ে কৌতূহল তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলের।
