রবিবাসরীয় ফাইনালে ইয়ানিক সিনারকে হারিয়ে কার্লোস আলকারাজ দ্বিতীয়বার ইউএস ওপেনের খেতাব জেতায় খুশি নন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাইভোল্টেজ ম্যাচ শেষে মার্কিন রাষ্ট্রপতির অভিব্যক্তি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। ট্রাম্পের অসন্তুষ্ট মুখ দেখে নানারকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নেটাগরিকরা। এ দিকে এর পাশাপাশিই আমেরিকান ওপেনের ফাইনালে ট্রাম্প আরও একটি বিতর্কে জড়িয়েছেন বলে খবর। তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে সমাজ মাধ্যমে।
রবিবারের ফাইনালকে কেন্দ্র করে কার্যত তারকার হাট বসেছিল নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে। যেখানে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা এবং এনবিএ গ্রেট স্টেফ কারি। তবে ট্রাম্পের আবির্ভাব ছিল একেবারেই আকস্মিক। তিনি যে আসছেন, সে ঘোষণা করা হয়নি আগে। কিন্তু ট্রাম্পের আগমনের কারণেই আধ ঘন্টারও বেশি বিলম্ব হয় ম্যাচ শুরু হতে। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল স্থানীয় সময় দুপুর দুটো নাগাদ। কিন্তু ট্রাম্পের আকস্মিক আগমনের কারণে আধ ঘন্টারও বেশি সময় পেরিয়ে যায় ম্যাচ শুরু হতে। ট্রাম্পের আসার খবর আগে থেকে ঘোষণা না করা হলেও স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে তাঁকে এক ঝলক দেখেই উচ্ছ্বসিত হন গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকেরা। কিন্তু ট্রাম্পের কারণে ম্যাচের সময় পিছিয়ে যাওয়ায় এই প্রশংসা, নিন্দায় বদলে যেতেও বেশি সময় লাগেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আকস্মিক আগমনের কারণেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি শুরু হয়ে যায়।
ট্রাম্পের আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ২৪,০০০ আসনবিশিষ্ট আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে। তৎপর হয়ে ওঠেন মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য ফেডারেল নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এ সময় মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে তাঁদের খেলা দেখতে আসা দর্শকদের ব্যাগ পরীক্ষা করতে হয়েছিল। মূলত সে কারণেই নির্ধারিত সময় থেকে অন্তত আধ ঘন্টা দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ। যার ফলে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন খেলা দেখতে আসা টেনিসপ্রেমীরা।
জনৈক দর্শক এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুরো দোষ ট্রাম্পের ঘাড়ে চাপিয়ে বলেন, ম্যাচ দেখার জন্য তাঁকে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাঁর কথায়, “একশো ভাগ দোষই ট্রাম্পের। তিনি খুবই স্বার্থপর। তাঁর কারণে ম্যাচ যে স্থগিত হতে পারে, সেটা তাঁর জানা উচিত। বিশেষ করে এমন এক শহরে, যেখানে মানুষ তাঁকে পছন্দ করে না।” অন্যদিকে আরেকজন দর্শকের অভিযোগ, “গাড়ি পার্কিং লটে ঢুকতে পারছে না, আর মানুষ মাইলের পর মাইল হেঁটে যাচ্ছে। এমনকি সেলেব্রিটিরাও অন্য সবার মতো অপেক্ষা করছে।”