বালি পাচারের তদন্তে সোমবার বড় অভিযানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। রাজ্যে বালি পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই বালি পাচারের তদন্তে বড় অভিযানে ইডি। বেহালার জেমস লং সরণিতে জি ডি মাইনিং নামে একটি সংস্থার অফিসে ইডির তল্লাশি।
সূত্রের খবর, ওই সংস্থার কার্যালয় রয়েছে এখানে। সংস্থাটি বালি সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত এবং এর আরও একটি শাখা বিধাননগর সেক্টর ফাইভে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কীভাবে বালি পাচার হয়, কোন কোন জায়গায় দুর্নীতি হয়, কীভাবে সরকারি রেট বাড়িয়ে বালি বিক্রি করা হয়, তা তদন্ত করে দেখছে ইডি। এই কোম্পানি কোন কোন জেলা থেকে বালি তোলে সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইডির দাবি, কয়েকশো কোটির দুর্নীতি হয়েছে এই বালি পাচারকে কেন্দ্র করে। সুবর্ণরেখা নদীর বালির বিপুল চাহিদা থাকায় সরকারি রেটের দ্বিগুণ করে তা বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ।
এই সুবর্ণরেখা নদী থেকেই বালি তুলে তা রাজ্যজুড়ে পাচার করা হত। সুবর্ণরেখার বালির গুণমান ভাল। এই বালিই কলকাতা সহ গোটা রাজ্য, প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডেও যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের কাছেই সুবর্ণরেখা নদীর কাছে বাড়ি রয়েছে জহিরুল আলির। তার কাজকর্ম রয়েছে ইডির স্ক্যানারে।
কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা সহ ২২টি জায়গায় ইডির তল্লাশি। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে শেখ জহিরুল আলির বিশাল তিনতলা বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারী দল। সুবর্ণরেখা নদীর ধারে এই বাড়িটি। দীর্ঘদিন ধরে ওই নদী থেকেই বেআইনি ভাবে বালি তোলার অভিযোগ। জহিরুল আলি নিজেও বালি কারবারের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাড়ির পাশাপাশি গাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। ইডির হাতে ছিল সার্চ ওয়ারেন্ট। নানা নথি ও কাগজপত্র খুঁটিয়ে দেখা হয়। জহিরুল আলি একসময় ভিলেজ পুলিশ হিসেবে কাজ করতেন। পরে সেই কাজ ছেড়ে বালি ব্যবসায় নামেন। সব মিলিয়ে পুজোর মুখে বালি পাচার ইস্যুতে ফের নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।