ক্ষমতা বদলের চিত্রনাট্যটা অনেকটা বাংলাদেশের মতো হলেও শেষটা সম্ভবত মিলছে না। গত কয়েকদিনে দুর্নীতি-বিরোধী বিক্ষোভ আর হিংসায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এবার তাঁর জায়গায় কে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও বুধবার রাতে নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম উঠে এসেছিল এই পদের জন্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান হিসাবে উঠে আসছে প্রাক্তন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কুল মান ঘিসিংয়ের নাম। নেপালে নাম নিয়ে জটিলতা হলেও বাংলাদেশ কিন্তু অনেকটা আগে থেকে নির্ধারিত হওয়া অন্তর্বর্তী প্রধান হিসেবে পেয়ে গিয়েছিল মুহাম্মদ ইউনূসকে।
কে এই কুল মান ঘিসিং? শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নেপালের বিদ্যুৎ সঙ্কট সমাধানকারী ইঞ্জিনিয়ার কুল মান ঘিসিং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আসতে চলেছেন। প্রাক্তন এই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ঘিসিং নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরুন, এমনটাই চাইছেন গণবিক্ষোভে নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকারকে গদিচ্যুত করা ছাত্র-যুবরা। অথচ প্রধান হিসাবে বুধবার রাত পর্যন্তও শোনা যাচ্ছিল সুশীলা কার্কির নাম। গুরুত্বপূর্ণ এই পদের জন্য সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকেই চাইছিলেন জেন-জেডরা। বুধবার এ নিয়ে কাঠমান্ডুতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বৈঠক হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণ ‘জেন-জেড’রা অনলাইনে আলোচনাসভায় যোগ দেন। যদিও বৃহস্পতিবার এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে প্রতিবাদী দল জানায়, তাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে আরও দুটি নাম আলোচিত হয়েছে। তারা হলেন কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র ‘বলেন’ শাহ এবং নেপাল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। তবে ঘিসিংকে বেছে নেওয়াটা অনেকের কাছে বিস্ময়কর বলে মনে হয়েছে।
খবর এসেছে, প্রাক্তন বিচারপতি কার্কি সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনাও শুরু করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের একটি অংশ মনে করছে সংবিধান বলছে প্রাক্তন বিচারপতিদের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিষিদ্ধ এবং ৭৩ বছর বয়সে কাজ চালানোর ক্ষেত্রে সুশীলা কার্কি যথেষ্ট প্রবীণ। এমন অবস্থায় ঘিসিংয়ের নামে সিলমোহর পড়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেশি এই কারণে যে রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম পছন্দ বলেন শাহ অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।