ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা নিয়ে ভারতের অনড় অবস্থান আবারও স্পষ্ট হয়েছে বলে জানালেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইশাক দার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জুলাই মাসেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ভারত সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
অপারেশন সিন্দুরের পর ভারত-পাকিস্তান সংলাপের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দার জানান, মে মাসে ও পরে জুলাইয়ে তাঁর সঙ্গে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর আলোচনায় এ প্রসঙ্গ উঠেছিল।
তিনি বলেন, “১১ মে সকালে যখন রুবিওর মাধ্যমে আমার কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আসে, তখন বলা হয়েছিল শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ স্থানে সংলাপ শুরু হবে। কিন্তু ২৫ জুলাই ওয়াশিংটনে আমাদের বৈঠকে রুবিও জানালেন, ‘ভারত বলছে এটি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় তারা রাজি নয়।’”
দারের এই মন্তব্য এসেছে এমন সময়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় ও পরে ওয়াশিংটন যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি স্থাপনে ভূমিকা নিয়েছিল। এপ্রিলে পহেলগামে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সেনার পাল্টা অভিযানের পরই এই দাবি ওঠে। তবে ভারত বরাবরই এ দাবি নাকচ করেছে।
পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় আপত্তি করি না, কিন্তু ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এটি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। তবে সংলাপ হলে তা সর্বাঙ্গীণ হতে হবে, সন্ত্রাসবাদ, বাণিজ্য, অর্থনীতি ও জম্মু-কাশ্মীর সবই আলোচনায় আসতে হবে।”
দার আরও দাবি করেন, অপারেশন সিন্দুরের সময় পাকিস্তান একাধিক দেশের দ্বারস্থ হয়েছিল। তাঁর কথায়, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক ভূমিকার কথা স্বীকার করতেই হবে। আমরা কখনও কাউকে যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করিনি। আমি ৭ মে-র ‘এয়ার ব্যাটল’-এর আগে এবং ১০ মে-র ‘গ্রাউন্ড ব্যাটল’-এর পর প্রায় ৬০ বার বিশ্বের নানা রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি জানি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, তারা মুসলিম হোক বা অমুসলিম, শান্তি, কূটনীতি ও আলোচনাকেই সমর্থন করে।”
