গোটা বিশ্ব জানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপেন কম্মোটি। যুদ্ধরত রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার অভিযোগে একযোগে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বসেছেন ভারতের উপর। অনেক বিতর্ক, চাপানউতোরের পর এই প্রথমবার দিল্লিতে মুখোমুখি বাণিজ্য আলোচনায় বসল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবারের এই বৈঠককে দুই দেশই ‘ইতিবাচক ও ভবিষ্যতমুখী’ আখ্যা দিয়েছে।
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কয়েক মাস ধরে চলা অচলাবস্থা কাটিয়ে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে আলোচনার নতুন দফা। সোমবার রাতেই ভারতে আসেন বাণিজ্যচুক্তি সংক্রান্ত মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রধান ব্রেন্ডন লিঞ্চ। মার্কিন বাণিজ্য দূত লিঞ্চের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল। সরকারি সূত্রে জানানো হয় যে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ষষ্ঠ দফা আলোচনা নয়, বরং তারই একটা শুরু বা প্রস্তাবনা। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের দীর্ঘস্থায়ী গুরুত্ব মেনে নিয়ে দুই দেশই আলোচনায় ইতিবাচক ও গঠনমূলক মনোভাব দেখিয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র তাঁর বিবৃতিতে জানান, “সহকারী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ ১৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়ালের সঙ্গে গঠনমূলক বৈঠক করেছেন। এতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনা হয়।”
২৫ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্য আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানা চাপিয়ে ৫০% শুল্ক ঘোষণা করেন। এটি গত ২৭ আগস্ট কার্যকর হয়। ভারত এই শুল্ককে ‘অন্যায্য’ আখ্যা দেয়। আমেরিকা অনায্য শুল্ক চাপালেও দিল্লি মনে করেছে ভারতীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে না। সম্প্রতি ট্রাম্প হঠাৎ সুর পাল্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে “মহান প্রধানমন্ত্রী” ও “প্রিয় বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন। অনেকে মনে করছেন ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্কও ভারতের অবস্থান বদলাতে পারেনি। এর ফলে, মার্কিন প্রশাসনের কাছে ভারতের দিকে নরম সুরে ফেরা ছাড়া আর উপায় থাকেনি।