সম্প্রতি নিজের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনলেন চিনের সোশ্যাল মিডিয়া স্টার ফ্যান জিহে। চিন ও পাকিস্তান উভয় দেশেই অনেক মানুষের মন জয় করেছে এই খবর। ২০ বছর বয়সি একজন চিনা সোশ্যাল মিডিয়া ইন্ফ্লুয়েন্সার ফ্যান জিহে। তিনি আসলে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। ছোট বেলায় তাঁকে পাকিস্তানে একটি কার্ডবোর্ড বক্সে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এরপর তাঁকে চিনের এক দম্পতি দত্তক নেন। তাঁরা তখন পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন। চিনের হেনান প্রদেশে গ্রামীণ পরিবেশে বড় হন ফ্যান।
ফ্যানের জীবন নাটকীয়ভাবে বদলে যায় ২০২৩ সালের শেষের দিকে। ফ্যানের একটি ছোট ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি নুডলস খাচ্ছিলেন। এই ভিডিয়ো চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায়১৮ লাখের বেশি মানুষ দেখেছিলেন। এক মুহূর্তেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
ফ্যানকে তাঁর সুন্দর চেহারা এবং বিনম্র চরিত্রের জন্য মানুষ ভালোবাসে। তিনি প্রতিদিনের গ্রামীণ জীবন এবং স্থানীয় চাষাবাদের পণ্য অনলাইনে প্রচার করে গ্রামবাসীদের সাহায্য করেন।
ফ্যানের হবু স্বামী লিউ শিয়াওশুয়াই ছিলেন তাঁর প্রথম ফ্যানদের মধ্যে একজন। তিনি ফ্যানের দৃঢ়তা এবং দয়ালু চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে যান। এরপর দুজনে একে অপরকে একান্ত বন্ধুদের মাধ্যমে চিনতে শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন। লিউ তাঁর চাকরি ছেড়ে ফ্যানের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রমকে সমর্থন করতে শুরু করেন। ভিডিয়ো এডিটিং ও সরঞ্জাম সামলানো থেকে শুরু করে ফ্যানের মা বাবার ফার্মের কাজে সহায়তা করেন।
তিন বছরের সম্পর্কের পর, ফ্যান অবশেষে বিয়ের ঘোষণা করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অতি সাধারণ অথচ ঐতিহ্যপূর্ণ এবং উভয় পরিবারের সমর্থনে হয় বিয়ে। সমুদ্রের থিমে সাজানো হয়েছিল বিয়ের মঞ্চ। কারণ ফ্যান কখনও সমুদ্র দেখেননি।
ফ্যান ও লিউর প্রেমকাহিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিয়ের সাজে ফ্যানকে পরী রূপী রাজকুমারীর মতো দেখাচ্ছে, বলছেন ভক্তরা। শুধু তাই নয়, ভক্তরা লিউকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন যেন তিনি তার “হেনান রাজকুমারীকে” ভালোভাবে রাখেন।