
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পতনের নেপথ্যে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের ভূমিকা এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র যোগ নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এক অপ্রকাশিত বইয়ে দাবি করেছেন, ওয়াকার-উজ-জামানই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনার মূল ব্যক্তি। প্রকাশের আগেই ‘ইনশাআল্লা বাংলাদেশ: দ্য স্টোরি অব অ্যান আনফিনিশড রেভলিউশন’ বইটির কিছু অংশ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে, যেখানে এসব অভিযোগ উঠে এসেছে।
২০২৪ সালের জুনে হাসিনা নিজেই ওয়াকারকে সেনাপ্রধান পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বছরের আগস্টে ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য হতে হয়। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, এই সিদ্ধান্তে ওয়াকার সরাসরি চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার একাধিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিলেও সেনাপ্রধানকে ছোঁয়া হয়নি।
খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকার মূল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী নেতৃত্ব ভেঙে দেওয়া এবং বঙ্গোপসাগরের কৌশলগত দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের নিয়ন্ত্রণ অর্জন করা। হাসিনা নাকি ওই দ্বীপ মার্কিন হাতে না দেওয়ায় তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। টেকনাফ উপকূলের কাছে অবস্থিত এই দ্বীপ সামরিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তা নিয়ে প্রতিযোগিতা তীব্র।
রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে হাসিনার পতনের পেছনে আসলেই বিদেশি প্রভাব কতটা কাজ করেছে এবং বাংলাদেশের সামরিক নেতৃত্ব কি সেই প্রভাবের অংশ ছিল? বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত না হলেও এর দাবি ঘিরে দেশজুড়ে নতুন বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
