
ঠাকুরবাড়ির অন্দরে ফের উত্তাল পরিস্থিতি। মতুয়া সমাজের দুই মুখ শান্তনু ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকুরের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবার প্রকাশ্যে এল। গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ঘোষণা করলেন এক নতুন মতুয়া সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ’-এর নতুন কমিটি। এই ঘোষণার মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেল, দুই ভাই আর এক মঞ্চে নেই।
এতদিন ঠাকুরনগরের একই রেজিস্ট্রেশনে দুটি সংগঠন সক্রিয় ছিল একদিকে তৃণমূলের সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন সংগঠন, অন্যদিকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ শান্তনু ও সুব্রতের সংগঠন। কিন্তু এবার সেই একই রেজিস্ট্রেশনে তৃতীয় একটি সংগঠন তৈরি করে রাজনীতির মঞ্চে নতুন সমীকরণ তৈরি করলেন সুব্রত।
নতুন কমিটির প্রধান সেবায়েত হিসেবে নাম উঠেছে বাবা মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর ও মা ছবি রানি ঠাকুরের। উপদেষ্টা মণ্ডলীতে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির একাধিক বিধায়ক। ফলে বিজেপির অন্দরে এই নতুন সংগঠন নিয়ে শুরু হয়েছে চাপা অস্বস্তি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বিভাজন শুধু পারিবারিক নয়, ভোটের আগেই বিজেপির মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলতে পারে। ঠাকুরবাড়ির প্রভাব রাজ্যের একাধিক আসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ভাই বনাম ভাইয়ের এই নতুন অধ্যায় বিজেপির সংগঠনগত ভারসাম্য নাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরিবারের একাংশ মনে করছে, মতুয়া সমাজের মধ্যে নেতৃত্বের আধিপত্য ও রাজনৈতিক প্রভাবই এই দূরত্বের মূল কারণ। দীর্ঘদিনের মতপার্থক্য অবশেষে গিয়ে ঠেকেছে প্রকাশ্য বিচ্ছেদে।
ঠাকুরবাড়ির এই নতুন অধ্যায়ে আবারও স্পষ্ট হলো মতুয়া রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথ এখন আর এক নয়, একাধিক দিকেই মোড় নিচ্ছে।
