পরিতোষ সাহা:শান্তিনিকেতন
সোনাঝুড়ি হাট সম্পূর্ণ ভাবে ‘বেআইনি’।তাই পরিবেশ আদালতে মামলা করার ভাবনা পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তের।সোমবার পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত সোনাঝুড়ি হাট ঘুরে দেখেন।পাশাপাশি ছবি তুললেন সোনাঝুড়ি জঙ্গলের মধ্যে গড়ে ওঠা হাট,হোটেল,রিসর্ট, পড়ে থানা প্লাস্টিক।সংগ্রহ করলেন তথ্য।“নিয়ম অনুসারে বন দফতরের জায়গায় এভাবে কোন বেসরকারী হাট বসতে পারে না।”এমনই বক্তব্য পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তের।
পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত বলেন,“সোনাঝুড়িতে সব সোনা ঝড়ে গেছে।এটা জং ধরা লোহা।এটা একটা অক্সিজেন স্পট।বন দফতরের জায়গায় নন-ফরেস্ট অ্যাক্টিভিটিতে ভরে গেছে।যেটা করা যায় না।যা দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে।যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।এখানে সব কিছুই হচ্ছে।আমি পরিবেশ আদালতে যাবো।প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাবো।”
প্রবীণ আশ্রমিক শ্যামলী খাস্তগির ২০০০ সালে গুটিকয়েক আদিবাসীদের নিজেদের শিল্পকর্ম সামগ্রী বিক্রি করাতে ও তাদের শিল্পকর্ম জনসমক্ষে তুলে ধরতে এই হাট বসিয়েছিলেন।সে সময় শুধু সপ্তাহে শনিবার এই হাট বসত।বর্তমানে এই হাটে ১৮০০ দোকান।আর এই হাট সপ্তাহে প্রতিদিনই বসে।ফলে হাটের মধ্যে প্লাস্টিক-আবর্জনার স্তুপ,হোটেল,রিসর্টে ভরে গেছে।নষ্ট হচ্ছে বনের পরিবেশ।কোন কারণ ছাড়াই গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত,গোটা হাট ঘুরে ঘুরে সমস্ত তথ্য ও ছবি তুলে নিয়ে যান।
এই হাটকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বড় বড় হোটেল,রিসর্ট।তার আবর্জনা হাটের পরিবেশ নষ্ট করছে মত সুভাষ দত্তের।পাশাপাশি বড় বড় গাড়ি সোনাঝুড়ি জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ছে।ফলে তাতেও নষ্ট হচ্ছে সোনাঝুড়ির পরিবেশ।তিনি বলেন, “এক সময় এই হাট সপ্তাহে একদিন বসতো।কোন নেতা বলে দেবে,আর হাট প্রতিদিন বসবে এটা হতে পারে না।বন দফতরের জায়গায় নন-ফরেস্ট অ্যাক্টিভিটি চলতে থাকলে আগামীদিনে এই সোনাঝুড়ি ভূগোলের ইতিহাসে পরিণত হবে।তাই সোনাঝুড়িকে বাঁচাতে তিনি জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করার ভাবনা ভাবছেন।প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে ও যাবেন।”
প্রসঙ্গত,পরিবেশ কর্মী পৌষ মেলার দূষণ নিয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন।সেই রায়ের পর পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে বর্তমানে পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
