শনিবার রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের পর জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলার রামবান এলাকায় একটি বাড়ি ধসে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশু সহ তিনজনের। ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, রামবান জেলার কিছু এলাকা রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের পর প্লাবিত হয়েছে। এরপর উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১০০ জনকে। কর্মকর্তারা জানান, অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস নেমেছে মহাসড়কের বেশ কয়েকটি জায়গায়। তাই বন্ধ রাখতে হয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে উভয় দিক থেকে যানবাহন চলাচল।
বন্যায় ভেসে গেছে অনেক যানবাহন এবং ধ্বংস হয়ে গেছে ধরম কুণ্ড গ্রামের প্রায় ৪০টি আবাসিক বাড়ি। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে পুলিশকর্মীরা আটকে পড়া গ্রামবাসীদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত ফুটেজে বলছে, ওই এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের পর রাস্তায় ধ্বংসাবশেষ ও কাদা জমে গেছে। ওই এলাকায় আটকা পড়েছে এলাকায় ট্রাক ও প্রাইভেটকার সহ যানবাহন।
মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংও এক্স-এ একটি পোস্ট করে এই অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা নিয়ে বলেন, রামবন এলাকায় বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসে কিছু সম্পত্তির ক্ষতিসহ তিনজন হতাহত হয়েছে। রাতভর ভারী শিলাবৃষ্টি, একাধিক ভূমিধস এবং দ্রুত বেগে বাতাস বয়ে গিয়েছে রামবান শহরের আশেপাশের এলাকাসহ এই পুরো অঞ্চলে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। বেশ কয়েকটি পরিবারের সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতির মুখে। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য জেলা প্রশাসন প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। এর ফলে বহু মূল্যবান জীবন বেঁচে গিয়েছে। দেওয়া হচ্ছে আর্থিক ও অন্যান্য সব ধরনের ত্রাণ। ডিসিকে জানানো হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, রামবনে ত্রাণ ও মেরামত পরিকল্পনা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন তিনি এবং নাগরিকদের ভ্রমণ পরামর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন,”রামবানের মর্মান্তিক ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায় অত্যন্ত মর্মাহত। এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি আমার সমবেদনা রইল। প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক উদ্ধার নিশ্চিত করতে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আজ আমি পুনরুদ্ধার, ত্রাণ এবং মেরামতের পরিকল্পনাগুলি পর্যালোচনা করব। আপাতত সরেজমিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দিকেই নজর রয়েছে। নাগরিকদের ভ্রমণ পরামর্শগুলি অনুসরণ করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় যাতায়ত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”