রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করল ভারত।সোমবার পাকিস্তানি মন্ত্রী খোয়াজা আসিফের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন ভারতের তরফে রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী ডেপুটি প্রতিনিধি যোজনা প্যাটেল। তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘে বলেন, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে “সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সমর্থন, প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের” ইতিহাস স্বীকার করে নিয়েছেন।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পরে স্কাই নিউজের এক সাংবাদিক খোয়াজা আসিফকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “গত তিন দশক ধরে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই নোংরা কাজ করেছি, যার মধ্যে পশ্চিমী দেশ ও যুক্তরাজ্যও রয়েছে।”
যোজনা প্যাটেল বলেন, এই স্বীকারোক্তি ‘অপ্রত্যাশিত নয়’ এবং এটি পাকিস্তানকে একটি “দুষ্কৃতকারী রাষ্ট্র” হিসেবে তুলে ধরেছে যারা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তি গোটা বিশ্ব শুনেছে। বিশ্ব আর চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।”
রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতীয় দূত যোজনা প্যাটেল জানান, ২০০৮ সালে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পরে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানাতেই সবচেয়ে বেশি নিরস্ত্র মানুষের মৃত্যু হয়েছে।পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এবং ভারতের প্রতি সংহতির বার্তা দিয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এভাবে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের “দৃঢ় ও নিরপেক্ষ সমর্থন ও সংহতির” জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ভারতের অভিযোগ, পহেলগাঁও কাণ্ডে পাকিস্তানি জঙ্গিরা জড়িত। তবে পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের দাবি তুলেছে। তবে যোজনা প্যাটেলের দাবি খোয়াজা আসিফের স্বীকারোক্তিতে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে গেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ‘ভিক্টিম্স অফ টেররিস্ট অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্ক’ বা ‘ভোটান’ মঞ্চের প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত আলোচনাসভায় বক্তৃতা করছিলেন প্যাটেল। সেখানে ভারতকেও ‘ভিন্দেশের সন্ত্রাস’-এর শিকার বলে বর্ণনা করেন তিনি। তিনি বলেন এটা পরিষ্কার যে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদে ইন্ধন এবং কাশ্মীরকে অস্থিতিশীল করে তোলার দায় পাকিস্তানের। এরপর আর গোটা বিশ্ব চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।
Leave a comment
Leave a comment
