মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের ভদোদরা জেলায় মাহিসাগর নদীর উপর ৪০ বছর পুরনো গম্ভীরা সেতু ভেঙে পড়ে। সেই সময় পরিবার নিয়ে ভ্যানে করে ভবনগরের বাগদানা বাবা সীতারাম মন্দির থেকে ফিরছিলেন ৩৮ বছরের রমেশ পাধিয়ার, স্ত্রী সোনাল, চার বছরের মেয়ে বেদিকা ও এক বছরের ছেলে নৈতীক। সেতু ভেঙে পড়তেই তাঁদের ভ্যানটি সোজা নদীতে পড়ে। সোনাল কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেও, স্বামী ও দুই শিশুকে হারান তিনি।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গম্ভীরা সেতুটি বহুদিন ধরেই দুর্বল অবস্থায় ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ও পঞ্চায়েত সদস্য হর্ষদ সিং পরমার বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা সেতুর দুর্বল অবস্থার কথা প্রশাসনকে জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অবশেষে এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রশাসনের উদাসীনতাই সামনে এল।”
সোনাল পাধিয়ার জানান, “সকালে আমরা মন্দির দর্শনের জন্য বেরিয়েছিলাম। ফেরার পথে সেতু পেরোনোর সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আমি ভেসে উঠতে পারলেও স্বামী ও সন্তানদের বাঁচাতে পারিনি। অনেকক্ষণ ধরে চিৎকার করেও কোনও সাড়া পাইনি।”
আরও পড়ুন
এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এখনও নিখোঁজ অনেকে। গুজরাটের বিজেপি সরকার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, সেতুটির জায়গায় নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই দুর্ঘটনাকে “গভীরভাবে দুঃখজনক” বলে বর্ণনা করেছেন। বিরোধী কংগ্রেস দল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছে, “এই ঘটনাই প্রমাণ করে গুজরাট মডেল কেমনভাবে ভেঙে পড়েছে।”
