সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠল নবান্নেই! মঙ্গলবার রাজ্য সচিবালয় নবান্নের ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর চেম্বারের সামনে সরাসরি পৌঁছে যান এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। যদিও নবান্নের মূল ভবনে কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ারের প্রবেশাধিকার নেই। তা সত্ত্বেও জেট প্লাস ক্যাটাগরির সমস্ত নিরাপত্তা ব্যূহ পেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেম্বারের সামনে কিভাবে পৌঁছে গেলেন একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার? এই প্রশ্নই এখন অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
সরকারি সুত্রে খবর, সিভিক ভলেন্টিয়ার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা। সাধারণত, পরিচিত সিভিক ভলেন্টিয়াররা মাঝেমধ্যে জল বা অন্যান্য কাজের জন্য ১৩ বা ১৪ তলায় যান। তবে নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে অপরিচিত একজন সিভিকের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চেম্বার পর্যন্ত পৌঁছনোকে গুরুতর ত্রুটি বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই সিভিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সিভিক ভলেন্টিয়ার নিজেকে “শিক্ষিত” হিসেবে পরিচয় দিয়ে স্থায়ী চাকরির আবেদন জানাতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চান বলে জানান।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
কিন্তু এভাবে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনো যায় না বলে জানিয়ে দেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। পরে ওই সিভিককে শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে ওই সিভিক জানিয়েছেন, কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি নবান্নে ঢোকেননি। যদিও সিভিক কীভাবে ১৪ তলায় পৌঁছেছিলেন এবং এটি কি সত্যিই অনিচ্ছাকৃত না এর পিছনে কোনও পরিকল্পনা ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।
ইউটিউবেও জাজবাত, আপডেট থাকুন আমাদের সঙ্গে
এই ঘটনার পর, নবান্নে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যদিও নবান্নের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে সূত্র মারফত জানা গেছে, নিরাপত্তায় এই ধরনের ত্রুটিগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জনা দশেক আধিকারিক কে পুট আপ করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
