মুখে যুদ্ধ থামানোর কথা বললেও আসলে দাদাগিরি দেখিয়ে শান্তি ফেরাতেই সিদ্ধহস্ত মার্কিন প্রশাসন, অভিযোগ এমনটাই। একদিন আগেই ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলার মাদকপাচারকারী বলে অভিযুক্ত নৌকায় মার্কিন বিমান হামলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ওই নৌকাটি ছিল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ট্রেন দে আরাগুয়া গ্যাং’-এর অংশ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, ওই গ্যাং ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাঠাচ্ছিল।
তবে মার্কিন হানায় ১১ জনের মৃত্যু হতেই সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রায়ান ক্র্যাসেনস্টেইন এক্সে লিখেছেন, “অন্য দেশের নাগরিকদের কোনও বিচার ছাড়াই হত্যা করা সরাসরি যুদ্ধাপরাধ।” আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানাচ্ছেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদের ভিত্তিতে এই হামলা বেআইনি হতে পারে। কারণ আত্মরক্ষার প্রয়োজনে বা নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া এইরকম বলপ্রয়োগ বৈধ নয়। সমালোচকদের অভিমত, ওই নৌযান যে তাৎক্ষণিক কোনও হুমকি হয়ে দাড়িয়েছিল এমন প্রমাণ নেই।
যদিও এমন অভিযোগকে পাত্তা দিচ্ছেন না মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি নৌকায় প্রাণঘাতী বিমান হামলার পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। ব্রায়ান ক্র্যাসেনস্টেইনের সমালোচনার জবাবে ভ্যান্স সংক্ষেপে লিখেছেন, “আমি কেয়ার করি না, আপনি একে যা খুশি বলুন।” ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে লিখেছেন, “যারা আমেরিকায় মাদক পাঠানোর চিন্তাও করছে, তাদের জন্য এটাই সতর্কবার্তা। সাবধান!”
প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি। তাঁর মতে, “এই হামলা আসলে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এবং তা মার্কিন জাতীয় স্বার্থরক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
