সম্প্রতি ভারতের সংখ্যালঘুদের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুইজারল্যান্ডের এক প্রতিনিধি দল। ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সুরক্ষা ও অধিকার এবং নিরাপত্তা নিয়ে সরাসরি উদ্বেগ জানায় সুইজারল্যান্ডের ওই প্রতিনিধি দলটি। ঘটনার প্রেক্ষিতে সুইজারল্যান্ডের কড়া সমালোচনা করেছে মোদি সরকার। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি কে ত্যাগী সাফ বলেছেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সুইজারল্যান্ড যেন অকারণে নাক না গলায়।
উল্লেখ্য, ৮ সেপ্টেম্বর জেনেভায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৬০ তম বৈঠকে সুইজারল্যান্ড সরকারের এক প্রতিনিধি দল অভিযোগ করে, ভারতের হিন্দুত্ববাদী একটি দল শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। সে কারণে ভারতে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সেখানে নিয়মিত চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। হিন্দুত্ববাদী একটি দল ভারতে ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে মুসলিমদের উপর নির্যাতন অনেক বেড়েছে। তাদের নিয়মিত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ওই সরকারের আমলে মুসলিম ও দলিত বিরোধী মনোভাব আরও তীব্র হয়েছে। ভারত সরকারকে তারা সংখ্যালঘুদের অধিকার, তাদের বাক স্বাধীনতা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রাখার আর্জি জানায়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের সভাপতিত্ব করছে সুইজারল্যান্ড।
ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছে মোদি সরকার। জেনেভায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ভারতীয় প্রতিনিধি কে ত্যাগী সুইস প্রতিনিধি দলের তোলা অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের ওই মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাদের কাছে যথাযথ কোন তথ্য নেই। ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তারা এ ধরনের মন্তব্য করেছে। অসত্য বিবৃতি দিয়ে তারা অযথাই মানবাধিকার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ের অপচয় করেছে। সুইজারল্যান্ডের উচিত তাদের দেশে জাতিগত যে সমস্যা রয়েছে সেগুলি দ্রুত নিরসন করা। এই বিষয়ে তারা যদি সাহায্য চায় তবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত।
মানবাধিকার কমিশনের ওই বৈঠকেও পাকিস্তান যথারীতি কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে ভারতকে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করে। জবাব দিয়েছেন ত্যাগী। তিনি বলেছেন, গোটা বিশ্ব জানে পাকিস্তান সরাসরি সন্ত্রাসবাদকে মদত জুগিয়ে চলেছে। সীমান্ত পারের সন্ত্রাসে মদত জোগানোই পাকিস্তানের একমাত্র কাজ। তাদের উচিত দেশ গঠনে মন দেওয়া। ত্যাগী আরও বলেন, পহেলগাম, উরি, পাঠানকোর্ট মুম্বইয়ের মত একের পর এক হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। ৯/১১ আমেরিকা এক ভয়ঙ্কর হামলার সাক্ষী হয়েছিল। সেই হামলার মূল চক্রী ওসামা বিন লাদেনকেও আশ্রয় দিয়েছিল পাকিস্তান। সেটা কেউ ভুলে যায়নি। জঙ্গি দমন নিয়ে পাকিস্তানের মতো এক দেশের কাছ থেকে আমরা কোনও কথা শুনতে চাই না। সংখ্যালঘুদের বিষয়ে আমরা ইসলামাবাদের কোনও কথায় কান দিতে রাজি নই।
Minorities
Switzerland
India
United nations
Leave a comment
Leave a comment