আলাস্কায় ঘটা করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠক হলেও শান্তি এখনও অধরা। এমন অবস্থায় শনিবার ন্যাটো দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে এবং রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আহ্বান জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি তিনি চিনের পণ্যের উপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করার কথাও ভেবেছেন, যা ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক এবং ভারতীয় তেল আমদানিতে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন, কিন্তু চিনের বিরুদ্ধে তেমন পদক্ষেপ নেননি।এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ন্যাটো সদস্য দেশগুলিকে এক খোলা চিঠি লিখেছেন ট্রাম্প জানিয়েছেন, “আমি রাশিয়ার উপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিতে তৈরি। তবে শর্ত একটাই—সমস্ত ন্যাটো দেশকে প্রথমে একযোগে এই একই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং রাশিয়ার তেল কেনা সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।ন্যাটোর কিছু দেশ রাশিয়ার তেল কিনছে—যা একেবারেই বিস্ময়কর। এতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দর কষাকষির ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ছে।”
ট্রাম্প আরও জানান যে তিনি এক্ষেত্রে ন্যাটোর সম্মিলিত পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছেন। আমেরিকা প্রস্তুত তবে সব দেশ রাজি হলেই এই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশ্বাস ন্যাটো যদি চিনের পণ্যের উপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, তবে তা রাশিয়ার উপর বেজিংয়ের প্রভাব ভেঙে দেবে। তিনি বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই শুল্ক এবং ন্যাটোর সম্মিলিত পদক্ষেপ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে সাহায্য করবে। চিনের রাশিয়ার উপর শক্ত নিয়ন্ত্রণ রয়েছে,এই শুল্ক সেই নিয়ন্ত্রণ ভেঙে দেবে।”
চিন অবশ্য এমন মার্কিন হুমকিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ।চিনের বিদেশ মন্ত্রক ব্লুমবার্গ নিউজকে জানিয়েছে যে রাশিয়াসহ বিশ্বের যেকোনও দেশের সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও জ্বালানি সহযোগিতার পথ খোলা আছে। বেজিংয়ের দাবি, চিন জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী জ্বালানি নিয়ে পদক্ষেপ নেবে।
Leave a comment
Leave a comment